বঢোদরা: এবারের বিজয় হাজারে ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল কর্ণাটক। ফাইনালে তারা হারিয়ে দিল বিদর্ভকে। দুরন্ত শতরান হাঁকালেন কর্ণাটকের সমরণ রবিচন্দ্রন। ৩৬ রানে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে এবারের বিসিসিআইয়ের ঘরোয়া ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টের খেতাব ঘরে তুলে নিল কর্ণাটক। শনিবার বঢোদরায় হওয়া ফাইনালে প্রথমে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিদর্ভের অধিনায়ক। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি দলের বোলাররা। কর্ণাটকের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল ও দেবদত্ত পড়িক্কল। কিন্তু দুজনের কেউই বড় রান করতে পারেননি। ময়ঙ্ক ৩২ রান করেন পাঁচটি বাউন্ডারির সাহায্যে। অন্য়দিকে দেবদত্ত ৮ রান করে প্যাভিলিয়ন ফেরেন। ২৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজনে।


কিন্তু কর্ণাটকের হয়ে মিডল অর্ডার দুর্দান্ত পারফর্ম করে। যার জন্য ৬ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ৩৪৮ রান তুলে নেয় কর্ণাটকর। সমরণ ৯২ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন ৭টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে। কৃষ্ণণ শ্রীজিত ৭৪ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি ৯টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান। অভিনব মনোহর ৪২ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন।


পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে বিদর্ভের ওপেনার ধ্রুব শোড়ে ১১১ বলে ১১০ রানের ইনিংস খেলেন। ৮টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। গোটা সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও ফাইনালে একেবারেই ভাল পারফর্ম করতে পারেননি করুণ নায়ার। ৩১ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ঝোড়াে ইনিংস খেলেছিলেন হর্ষ দুবে। তিনি ৩০ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। পাঁচটি বাউন্ডারি ও সমসংখ্যক ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩১২ রানে শেষ হয়ে যায় বিদর্ভের ইনিংস। 


এদিকে শনিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতীয় দল নির্বাচন ছিল। সেখানেই করুণ নায়ারের সুযোগ না পাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছিলেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। দল নির্বাচনের পর সাংবাদিক বৈঠকে আগরকর দাবি করেন যে এই দলে করুণ নায়ারের জায়গা পাওয়া কার্যত অসম্ভব ছিল। তিনি জানান, 'করুণ নায়ার ভাল খেলছেন বটে, তবে এই দলে ওর জায়গা পাওয়া খুবই কঠিন।' করুণ নায়ার চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। সাত ম্যাচে তিনি ইতিমধ্যেই ৭৫২ রান করে ফেলেছেন। টানা ছয় ম্যাচে অপরাজিত থেকে ইতিহাসও গড়েন তিনি। তারপরেই ৩৩ বছর বয়সি তারকার জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের আশা জেগেছিল। তবে তেমনটা হল না।