হায়দরাবাদ: সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলার (Bengal Cricket Team) স্বপ্নের দৌড় চলছে। শুক্রবার ৪৫ বল বাকি থাকতে বিহারকে ৬ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ ই-র শীর্ষে পৌঁছে গেল বাংলা। বিজয় হাজারে ট্রফিতে অপরাজিত থেকে কার্যত নক আউটে জায়গা করে নিল লক্ষ্মীরতন শুক্লর প্রশিক্ষণাধীন দল। যদিও বাংলা সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে, নাকি প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হবে, তা নির্ধারিত হবে মধ্য প্রদেশের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের পর।


শুক্রবার হায়দরাবাদে বাংলা বনাম বিহার ম্যাচে সকলের নজর ছিল একজনের দিকে। মহম্মদ শামি। যিনি ৩৬০ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষবার জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল ডানহাতি পেসারকে। তারপরই তাঁর গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার হয়।


সুস্থ হয়ে চলতি মরশুমেই মাঠে ফিরেছেন শামি। রঞ্জি ট্রফিতে মধ্য প্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলেন। তারপর বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের টি-২০ টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ ট্রফিতেও খেলেন। ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কি না, তা নিয়ে জোর চর্চা ছিল।


যদিও তারপরই জানা যায় যে, শামির হাঁটুতে জল জমেছে। ফের তিনি মাঠের বাইরে চলে যান। বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলার হয়ে খেলছিলেন না। অস্ট্রেলিয়ায় রোহিত শর্মা জানিয়েছিলেন যে, পুরো ফিট না হলে শামিকে খেলানো হবে না।


ফের মাঠে নামলেন শামি। শুক্রবার বিহারের বিরুদ্ধে ৮ ওভার বল করলেন তিনি। একটি মেডেন সহ ২৮ রান দিয়ে একটি উইকেটও নিলেন। প্রথমে ব্যাটিং করে ৪৯ ওভারে ২৩৫ রানে অল আউট হয়ে যায় বিহার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪২.৩ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যপূরণ বাংলার। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ১২৮ বলে অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস খেলেন বাংলার অধিনায়ক সুদীপ কুমার ঘরামি। ৫৩ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অপর ওপেনার অভিষেক পোড়েল।


এই জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট হল বাংলার। নিয়ম হচ্ছে, পাঁচ গ্রুপের সেরা পাঁচ দল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে। দ্বিতীয় সেরা দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট থাকা ৬টি দল খেলবে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখান থেকে ৩টি দল জায়গা পাবে কোয়ার্টার ফাইনালে।


আরও পড়ুন: এক সময় কেকেআরে খেলেছেন, টুর্নামেন্টের মাঝপথে আচমকা অবসর ঘোষণা


আরও পড়ুন: ৪ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি, একবারও আউট না হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করার বিরল বিশ্বরেকর্ড করুণের