নয়াদিল্লি: রাত পোহালেই বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিজয় হাজারে ট্রফি (VHT 2025-26)। এবারের বিজয় হাজারে ট্রফি নিয়ে সমর্থকদের বাড়তি আগ্রহ চোখে পড়ছে। কারণ একাধিক মহাতারকা এবারের এই ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli), রোহিত শর্মাও (Rohit Sharma)। রোহিত, বিরাটদের ম্যাচ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন সকলে। 

Continues below advertisement

রোহিতের মুম্বই বনাম সিকিমের ম্যাচটি হবে জয়পুরে। অপরদিকে, বিরাটের দিল্লির ম্যাচটি চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আলুর বিসিসিআইয়ের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে। কখন, কোথায়, কীভাবে রোহিত, বিরাটদের ম্যাচ দেখা যাবে? উত্তর হল, এই ম্যাচের একটিও দেখা যাবে না। দুর্ভাগ্যবশত রোহিতের মুম্বই বা বিরাটের দিল্লি, কালকের কারুর ম্যাচই টেলিভিশনে দেখা যাবে না, এমনকী অনলাইনেও এই ম্যাচ দেখা সম্ভব হবে না।

বিসিসিআইয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমনটা হয়ে থাকে, তেমনভাবেই একই দিনে একই সময়ে ৩৮টি দল বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচ খেলবে। ঠিক যেমন রঞ্জি ট্রফির ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, তেমনই বিজয় হাজারে ট্রফিতেও বিসিসিআইয়ের তরফে নির্দিষ্ট কিছু ম্যাচেরই ব্রডকাস্ট করা হয়। এই টুর্নামেন্টের জন্য রাজকোট এবং আমদাবাদেই ব্রডকাস্টিং সেটআপ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই দুই মাঠে আয়োজিত ম্যাচগুলিই দেখা যাবে। বাকি মাঠে আয়োজিত ম্যাচগুলি দেখা যাবে না। কেবল বিসিসিআইয়ের ওয়েবসাইটে ম্যাচগুলির আপডেট পাওয়া যাবে।

Continues below advertisement

কিন্তু হঠাৎ বিরাট কোহলিদের ম্যাচ স্থানান্তরিত হল কেন? কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অনুরোধে সোমবার কর্ণাটক পুলিশ, ফায়ার সেফটি আধিকারিক এবং পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন। আজই এই বিষয়ে সরকারিভাবে রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল। সেইমতোই কর্ণাটকের গৃহ মন্ত্রালয় মঙ্গলবার রিপোর্ট পেশ করে। সেই রিপোর্টেই নিরাপত্তার অভাবের বিষয়টি বলা হয়েছে।

বেঙ্গালুুরুর পুলিশ কমিশনার শীমন্ত কুমার সিংহ এই বিষয়ে জানান, 'গৃহ মন্ত্রালয়ের নির্দেশ অনুসারে কমিটিটি গতকাল মাঠে গিয়েছিল। দমকল, পিডব্লুডি, স্বাস্থ্য, পুলিশের মতো বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা এই কমিটিতে ছিলেন। তারা কালকের ওই ম্যাচ আয়োজনের জন্য অনুমতি দেননি।'  

নিরাপত্তাজনিত কারণেই ম্যাচ স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এই ম্যাচগুলির শহরের কেন্দ্র থেকে দূরে বন্ধ দরজার পিছনে খেলা হবে যাতে সমর্থকরা কোনওভাবেই ভিড় জমাতে না পারেন।