নয়াদিল্লি: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাঝেই একটা খবর শুনে উদ্বেগে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। গ্রেফতার হলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সহবাগের (Virender Sehwag) ভাই বিনোদ সহবাগ (Vinod Sehwag)।
ঠিক কী অভিযোগ?
জানা গিয়েছে, চণ্ডীগড় পুলিশ গ্রেফতার করেছে সহবাগের ভাইকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, একটি বিরাট অঙ্কের চেক বাউন্স করেছে। যে চেকের অর্থের পরিমাণ নেহাত কম নয়। ৭ কোটি টাকা! সেই চেক বাউন্স করার জন্যই বিনোদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। তাঁকে স্থানীয় একটি আদালত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।
ঘটনাটির নেপথ্যে রয়েছে জলটা ফুড অ্যান্ড বিভারেজেস কোম্পানি (Jalta Food and Beverages Company)। যে সংস্থার ডিরেক্টর বিনোদ সহবাগ, বিষ্ণু মিত্তল (Vishnu Mittal) ও সুধীর মলহোত্র (Sudhir Malhotra)। তাঁদের বিরুদ্ধে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের বাড্ডির এক ব্যবসায়ী, শ্রী নয়না প্লাস্টিক ফ্যাক্টরির মালিক কৃষ্ণ মোহনের অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা আইনি পদক্ষেপ। তিনিই দিল্লির জলটা ফুড অ্যান্ড বিভারেজেস কোম্পানির বিরুদ্ধে চণ্ডীগড় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। জানান যে, জলটা ফুড অ্যান্ড বিভারেজেস কোম্পানি তাঁর শ্রী নয়না প্লাস্টিক ফ্যাক্টরি থেকে বেশ কিছু মালপত্র কিনেছিল।
তার দাম মেটানোর জন্যই সাত কোটি টাকা দিতে বলা হয় জলটা ফুড অ্যান্ড বিভারেজেস কোম্পানিকে। সেই বাবদ একটি চেকও দেওয়া হয় শ্রী নয়না প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিকে। শ্রী নয়না প্লাস্টিক ফ্যাক্টরির মালিক কৃষ্ণ মোহনের অভিযোগ, মানিমাজরায় ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্সে তিনি চেকটি জমা করেন। কিন্তু অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই - এই কারণে সেই চেকটি বাউন্স করে। তারপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন কৃষ্ণ মোহন।
কৃষ্ণ মোহনের অভিযোগ, তিনি পাওনা টাকা না পাওয়ায় মামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালে আদালত জলটা ফুড অ্যান্ড বিভারেজেস কোম্পানির তিন মালিক - বিনোদ সহবাগ, বিষ্ণু মিত্তল ও সুধীর মলহোত্রকে পলাতক হিসাবে ঘোষণা করে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুনানির দিন হাজির না হওয়ায় তিনজনের বিরুদ্ধেই পুলিশ কেস শুরু হয়।