নয়াদিল্লি: দামি জল, বিশেষ খাবার দাবার, নিয়ম মেনে কসরত, নিজেকে ফিট রাখতে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) শরীরের বিশেষ যত্ন নেন। তবে তাঁর রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) প্রত্যাবর্তনে একেবারে ভিন্ন কোহলিকে দেখা গেল। নিজের ডায়েট থেকে সরে আর পাঁচজন টিমমেটের মতো একই খাবার দাওয়ার খেলেন কোহলি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা।
কোহলির জনপ্রিয়তা ঠিক কতটা, তার সাক্ষী ছিল গতকালের অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। কেবল 'কিং'-কে দেখবেন বলেই ১৫ হাজার সমর্থক মাঠে ভিড় জমিয়েছিলেন। ঠাসা গৌতম গম্ভীর স্ট্যান্ড দেখে বোঝা দায় যে ম্যাচটা রঞ্জি ট্রফির আপাত অর্থে গুরুত্বহীন একটা ম্যাচ। কোহলিকে এক ঝলক দেখার জন্য কেউ সকাল ছয়টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন, তো কেউ আবার স্কুল ছুটি করে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রতিটা মুভের দিকে নজর ছিল। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর খাবার থালায় কী ছিল, সেইদিকেও অনেকের আগ্রহ ছিল।
অনুশীলনের প্রথম দিন মঙ্গলবার কোহলি মাঠে আসার পর নিজের একদা পছন্দের ছোলে পুরি নাকচ করে দিলেও, তিনি কাড়ি চাওয়াল খান। বৃহস্পতিবার ম্যাচের প্রথম দিন তাঁর প্লেটে ছিল চিলি পনির। শোনা যাচ্ছে কোহলির জন্য ডিডিসিএ কর্তারা পাঁচতারা রেস্তোরাঁ থেকে বিশেষ খাবার অর্ডার দিয়ে আনানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে কোহলি নিজেই তা না করে দিয়ে দলের বাকিদের সঙ্গেই মাঠের ক্যান্টিনের খাবার খান। মহাতারকা হয়েও নিজেকে বাকি সতীর্থদের থেকে আলাদা না ভেবে একসঙ্গে অনুশীলন থেকে খাওয়া দাওয়া সারা কোহলি নিজের কর্মকাণ্ডে সকলেরই মন জিতেছেন।
তবে কোহলিকে এদিন এক ঝলক দেখার জন্য যা হুড়োহুড়ি শুরু হয়েছিল, তাতে আরেকটু হলেই কিন্তু বিরাট বিপত্তি ঘটতে পারত। দিল্লি-রেলওয়েজ ম্যাচ দেখতে মাঠ ভরিয়েছেন হাজার হাজার দর্শক। কিন্তু মাঠে ঢোকার মুখেই এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হল সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা পুলিশ বাহিনীকে। ২ দিন আগেই মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য মানুষের। এদিন অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বিরাট ঢোকার মুখেই তাঁকে দেখতে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। অনেকেই দৌড়াদৌড়িতে মাটিতে পড়ে যান। প্রায় পদপিষ্ট হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েক জন আহত হলেও বড় কোনও অঘটন ঘটেনি।
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ''অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম থেকে ফোন এসেছিল, সেখানে নাকি পদপিষ্ট হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শুধুমাত্র একটি গেটই দর্শকদের ঢোকার জন্য খুলে রেখেছে দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে তড়িঘড়ি অন্য গেটগুলোও খুলে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি অবশ্য দ্রুত সামাল দেওয়া গিয়েছে।''
আরও পড়ুন: একদা তাঁকে অনূর্ধ্ব ১৪ দলে খেলানোর জন্যও চাওয়া হয়েছিল ঘুষ, সেই কোহলিকে দেখতেই আজ হুড়োহুড়ি