নয়াদিল্লি: ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর রেলওয়েজ। ১৩ পর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রঞ্জি (Ranji Trophy) প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তাঁর প্রত্যাবর্তন ম্যাচে ছিল সমর্থকদের ঢল। প্রথম দিন ১৫ হাজারের মতো সমর্থকরা কোহলিকে দেখতে হাজির হয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনেও ছবিটা অনেকটা এমনই থাকার কথা। এই দিনেই ডিডিসিএ-তরফেও এক বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ম্যাচের প্রথম দিন দর্শকদের মধ্যেকার উন্মাদনা দেখে অভিভূত দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা। তাই ম্যাচের দ্বিতীয় দিন থেকে আক দশ হাজার নয়, ২৫ হাজার মতো সমর্থকরা মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন। খুলে দেওয়া হয়েছে আরও একাধিক গেট। এদিনই ডিডিসিএ কোহলিকে এক বিশেষ সংবর্ধনা দেবে বলেও শোনা যাচ্ছে। ভারতের হয় শতাধিক টেস্ট খেলার জন্যই কিং কোহলি-কে সম্মান জানাচ্ছে ডিডিসিএ। গতকালই প্রতিপক্ষকে ২৪১ রানে অল আউট করে দিয়েছিল দিল্লি। সেইমতো ব্যাটেও নেমেছে কোহলির দল। সব ঠিকঠাক থাকলে আজই কিন্তু কোহলিকেও ব্য়াট হাতে মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে। 

কোহলির জনপ্রিয়তা ঠিক কতটা, তার সাক্ষী ছিল গতকালের অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। কেবল 'কিং'-কে দেখবেন বলেই ১৫ হাজার সমর্থক মাঠে ভিড় জমিয়েছিলেন। ঠাসা গৌতম গম্ভীর স্ট্যান্ড দেখে বোঝা দায় যে ম্যাচটা রঞ্জি ট্রফির আপাত অর্থে গুরুত্বহীন একটা ম্যাচ। কোহলিকে এক ঝলক দেখার জন্য কেউ সকাল ছয়টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন, তো কেউ আবার স্কুল ছুটি করে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রতিটা মুভের দিকে নজর ছিল। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর খাবার থালায় কী ছিল, সেইদিকেও অনেকের আগ্রহ ছিল।

অনুশীলনের প্রথম দিন মঙ্গলবার কোহলি মাঠে আসার পর নিজের একদা পছন্দের ছোলে পুরি নাকচ করে দিলেও, তিনি কাড়ি চাওয়াল খান। বৃহস্পতিবার ম্যাচের প্রথম দিন তাঁর প্লেটে ছিল চিলি পনির। শোনা যাচ্ছে কোহলির জন্য ডিডিসিএ কর্তারা পাঁচতারা রেস্তোরাঁ থেকে বিশেষ খাবার অর্ডার দিয়ে আনানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে কোহলি নিজেই তা না করে দিয়ে দলের বাকিদের সঙ্গেই মাঠের ক্যান্টিনের খাবার খান। মহাতারকা হয়েও নিজেকে বাকি সতীর্থদের থেকে আলাদা না ভেবে একসঙ্গে অনুশীলন থেকে খাওয়া দাওয়া সারা কোহলি নিজের কর্মকাণ্ডে সকলেরই মন জিতেছেন।

আরও পড়ুন: একদা তাঁকে অনূর্ধ্ব ১৪ দলে খেলানোর জন্যও চাওয়া হয়েছিল ঘুষ, সেই কোহলিকে দেখতেই আজ হুড়োহুড়ি