মুম্বই: গত আইপিএলকেকেআর বনাম আরসিবি ম্য়াচের ফাঁকেই একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছিল যে দু দলের প্রস্তুতি পর্বে নিজে থেকে এগিয়ে এসে গৌতম গম্ভীর হাত মিলিয়েছিলেন বিরাট কোহলির সঙ্গে। যে ছবি গত ৫-৭ বছরে দেখা যায়নি তেমনই কিছু ছবি ফুটে উঠেছিল এরপর থেকে। ঝামেলা, কোন্দল, হাতাহাতি সব কিছুই অতীত। বিরাট ও গম্ভীরের সম্পর্ক যে এখন অনেক মধুর, তা কিন্তু কিছুদিন আগে ভারতীয় ক্রিকেটের সোশ্য়াল মিডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে দেখা গিয়েছে। এবার আরও একবার বিরাট বন্দনা শোনা গেল গম্ভীরের মুখে।


নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু প্রথম টেস্ট। সেই সিরিজের আগে বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠকে এসে ভারতীয় দলের হেডকোচ বলেন, ''বিরাট একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার। ওঁ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের সময় যেমন ক্ষুধার্ত ছিল, এখনও তেমনই রয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বিরাটের, সেই সময়টা আমার মনে আছে। আমি ওর সঙ্গেই ব্যাটিং করছিলাম। খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম রানের খিদে কতটা ওর মধ্যে রয়েছে। এখনও তার এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। আমি নিশ্চিত, কিউয়িদের বিরুদ্ধেও বিরাট রান করার জন্য মুখিয়ে থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও একই মানসিকতা নিয়ে নামবে।''


চলতি বছরে একেবারেই ফর্মের ধারেকাছে নেই কোহলি। শেষবার শতরান এসেছিল গত বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপে। এই নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধেই সেমিতে ১১৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর থেকে ক্রিকেটের তিন ফর্ম্য়াট মিলে মোট ২২ ইনিংসে কোহলির ঝুলিতে ৫৬৩ রান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২ টেস্টে চার ইনিংসেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তবে গম্ভীর মনে করেন নিউজিল্য়ান্ড সিরিজেই বড় রান পাবেন বিরাট।


প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বলেন, ''আমি নিশ্চিত একটা ম্যাচে বিরাটের বড় রান দরকার। তা পেলে বিরাট ধারাবাহিকভাবে আরও রান করতে পারবে। আমি জানি, আগামী ৮ টেস্টের দিকে কোহলির লক্ষ্য থাকবে। ও চাইবে বড় ইনিংস খেলতে।''


এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত, সূর্যদের হেডকোচ বলছেন এখন ভারতীয় ক্রিকেটে বোলারদের স্বর্ণযুগ চলছে। গম্ভীর বলছেন, "ব্যাটারদের জমানা এখন আর নেই। এখন পুরোটাই বোলারদের জমানা। ব্যাটিং নির্ভর ভাবনা চিন্তা এবার বদলাবার সময় এসেছে বলেই আমি মনে করি। ব্যাটাররা শুধু ম্য়াচটা কিছুটা নিজেদের দখলে আনতে পারে। যদি একটা দল হাজার রান করে তবুও কিছু হবে না, যদি বোলাররা ২০ উইকেট না নেয়। আমি সবসময় মনে করি ম্য়াচ জেতান বোলাররাই। একটা দলের বোলাররা ২০ উইকেট নিলে টেস্টে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ম্য়াচ জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।''