নয়াদিল্লি: বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ভারতীয় ক্রিকেটের (Indian Cricket Team) স্টলওয়ার্ট। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। দেশের জার্সিতে অসংখ্য রেকর্ড ঝুলিতে পুরেছেন। অধিনায়ক হিসেবেও সাফল্য অর্জন করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ওয়ান ডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, সব ফর্ম্য়াটেই সফল একজন ব্যাটার। কিন্তু তবুও বিরাটের কেরিয়ার এখনও অপূর্ণ, এমনটাই মনে করেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ইউনিস খান। 


যুব বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ২০০৮ সালে অধিনায়ক হিসেবে। বিরাট জাতীয় দলের জার্সিতে ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জেতেন। ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতেন। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন চলতি বছর। এছাড়াও টেস্ট, ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটারও হয়েছিলেন তিনি। গত বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপের মঞ্চে সচিন তেন্ডুলকরে টেক্কা দিয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে কেরিয়ারে বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বাধিক ৫০ শতরান হাঁকানোর নজির গড়েছিলেন। তবে ইউনিস খান মনে করেন এখনও বিরাট কোহলি পাকিস্তানের মাটিতে ভাল পারফর্ম করা বাকি। প্রাক্তন পাক অধিনায়ক বলেন, ''বিরাট কোহলি পাকিস্তানে আসুক আর ভাল পারফরমেন্স করুক। এই একটা পালক তাঁর মুকুটে বাকি রয়েছে। যদি ও আসে তাহলে আমাদের সবাই খুব খুশি হবে।'' ২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সঙ্গে পাকিস্তানে গেলেও এরপর কখনই সিনিয়র ভারতীয় দলের সঙ্গে সেদেশে যাননি বিরাট কোহলি। ২০০৭ সালের পর আর দুই দেশের মধ্যে কোনও টেস্ট সিরিজ হয়নি। ২০১২ সালের পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজও খেলেনি ভারতীয় দল। তবে আগামী বছর পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। যদিও ভারত সরকার বিসিসিআইকে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। 


ভারত পাকিস্তানের মাটিতে নয়। হাইব্রিড মডেলে খেলতে চাইছে বিসিসিআই। যদি চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফিতেও হাইব্রিড মডেলে খেলা হয়, সেক্ষেত্রে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্য়াচে পাকিস্তান থেকে সরতে পারে। এখনও পর্যন্ত যে সূচি তাতে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্য়ান্ড ও বাংলাদেশ রয়েছে গ্রুপ এ-তে। অস্ট্রেলিা, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে গ্রুপ বি-তে। ১৯৯৬ সালে সহ আয়োজক হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। তবে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রথম কোনও টুর্নামেন্ট হতে চলেছে আইসিসির। যা এককভাবে আয়োজন করার কথা ছিল পিসিবির। এদিকে, বিসিসিআইয়েক চাপে ফেলতে নতুন কৌশল নিল পিসিবি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে যে ভারত সরকার যে রোহিতদের খেলতে পাঠাতে রাজি নয়, তা লিখিত আকারে যেন দেওয়া হয়।