হায়দরাবাদ: নীতিশ কুমার রেড্ডি। গত আইপিএলে যতজন নতুন তরুণ প্লেয়ারের নাম বারবার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন। কমলা জার্সিতে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতে নেমে বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে পারেন। আবার বল হাতেও কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন বছর একুশের এই তরুণ। ইতিমধ্যেই ভারতীয় দলের জার্সিতেও তাঁকে দেখার জন্য অনেকেই আওয়াজ তুলছেন। হার্দিক পাণ্ড্য ছাড়া পেসার অলরাউন্ডার এই মুহূর্তে ভারতে নেই। ফলে গত জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজে সুযোগ পেয়েছিলেন নীতিশ। কিন্তু সিরিজ শুরুর আগে আচমকাই চােটের জন্য ছিটকে যান তিনি। যদিও নিজের লক্ষ্যে স্থির নীতিশ। 


গত আইপিএলে ১৪৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছিলেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। ১১ ইনিংসে মোট ৩০৩ রান এসেছিল তাঁর ব্যাটে। তার মধ্যে দুটো অর্ধশতরানও রয়েছে। এছাড়াও ৩ উইকেটও নিয়েছিলেন। এমার্জিং প্লেয়ার অফ দ্য সেশনের পুরস্কারও জিতেছিলেন নীতিশ। তরুণ ভারতীয়র অনুপ্রেরণা কে জানেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নীতিশ বলেছেন, ''আমি গত ১০ বছর ধরে আরসিবির ভক্ত। বিরাট কোহলির বিশাল ফ্যান আমি। আমি প্রথমবার যখন তাঁকে দেখেছিলাম, শুধু তাকিয়েই ছিলাম। এছাড়াও অটোগ্রাফ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমি সবসময় চাইতাম যে আরসিবির বিরুদ্ধে খেলি ও বিরাট কোহলির নজরে যেন আসতে পারি। আরসিবির বিরুদ্ধে ম্য়াচের পর আমার সঙ্গে নিজে কথা বলেছিলেন বিরাট, যা আমার কাছে দারুণ অভিজ্ঞতা। উনি আমার নাম মনে রেখেছিলেন। এছাড়াও এবি ডিভিলিয়ার্সের খেলার আমি ভীষণ পছন্দ করি। ওঁনার সঙ্গেও কথা বলার ইচ্ছে রয়েছে। যদিও এখন তাে তিনি অবসর নিয়েছেন। তাই একসঙ্গে বা প্রতিপক্ষ হিসেবে আর খেলা হবে না।''


আগামী সেপ্টেম্বরে দলীপ ট্রফি দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু। তার জন্যই আপাতত চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে ব্যস্ত নীতিশ। উল্লেখ্য, অনূর্ধ্ব ১৬ বিজয় মার্চেন্ট ট্রফি থেকে প্রথম নজরে আসেন নীতিশ। সেখানে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে একটি ম্য়াচে ত্রিশতরান হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও ১৯০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শক্তিশালী কর্ণাটকের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে। ২০১৭-১৮ মরশুমে সেই টুর্নামেন্টে মোট ১২৩৭ রান করেছিলেন। কেরালার হয়ে রঞ্জিতে ২০২০ সালে অভিষেকের পর ২০২৩ সালে আইপিএলে তাঁকে দলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কিন্তু সেই মরশুমে মাত্র দুটো ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও ব্যাট হাতে নামার সুযোগ হয়নি। অবশেষে চলতি বছর আইপিএল জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায় নীতিশের।