ঢাকা: গোটা সিরিজে রান পাননি। ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৪ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ রান করেই আউট হন। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বভাবতই মেজাজ ছিল বিগড়ে। তার মধ্যে বাংলাদেশের প্লেয়ারদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর যখন ৩৭, তখন বিরাট আউট হন। কোহলির উইকেট পেয়ে তেতে ওঠেন মেহদি, তাইজুল, তাসকিনরা। এরপরই ঝামেলার সূত্রপাত।


ঠিক কী হয়েছিল?


আউট হয়ে যখন ফিরছিলেন বিরাট, তখন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তাঁকে কিছু একটা বলেন। বিরাট ক্রিজ ছাড়ার মুহূর্তে যা শুনে ফের এগিয়ে আসেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দিকে। সেই সময়ই শাকিব আল হাসান ও আম্পায়াররা মিলে বিরাটকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। বিরাটকে বোঝানোর পর শাকিবকে দেখা যায় নিজের সতীর্থদের দিকে এসেও তাঁদের কিছু বোঝাচ্ছেন। 


জমে গেল ঢাকা টেস্ট। শেষ দিনে জয়ের জন্য ভারতের দরকার আর মাত্র ১০০ রান। হাতে রয়েছে ৬ উইকেট। ১৪৫ রান করলেই ম্যাচ পকেটে। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৪৫ রান বোর্ডে তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে টিম ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন বিরাট কোহলি, কে এল রাহুল। ক্রিজে আছেন অক্ষর পটেল ও নাইটওয়াচম্য়ান জয়দেব উনাদকাট। 


গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৭ রান বোর্ডে তুলে নেয় বাংলাদেশ। এদিন ব্যাট করতে নেমে শান্তর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যদিও প্রথম টেস্টের শতরানকারী জাকির হাসান অর্ধশতরান করেন। যদিও ৫১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। উমেশ যাদব তুলে নেন জাকির হাসানের উইকেট। লোয়ার অর্ডারে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন লিটন দাস।  নিজের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। নুরুল হাসান ৩১ ও তাসকিন আহমেদ ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ২৩১ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। 


১৪৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে ৪৫ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট খুঁইয়ে ফেলেছে ভারতীয় দল। একে একে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের টপ অর্ডার। অধিনায়ক কে এল রাহুল ২ রান করে ফেরেন। শুভমন গিল ৭ রান করেন। ৬ রান করেন চেতেশ্বর পূজারা। ২২ বলে ১ রান করে আউট হন বিরাট কোহলি। অক্ষর পটেল ২৬ রান করে ব্যাট করছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের মেহদি হাসান মিরাজ ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন।