নয়াদিল্লি: চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সার্কেল একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। দুই ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হওয়ার আগে আর হাতেগোনা কয়েকটি ম্যাচই বাকি রয়েছে। কিন্তু কোথায়, কবে আয়োজিত হবে এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল? খবর অনুযায়ী, ফের একবার গত সার্কেলের মতো এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও ইংল্যান্ডেই আয়োজিত হতে চলেছে।
কোথায়, কবে ফাইনাল?
আইসিসির তরফে সরকারিভাবে কিছু বলা না হলেও, একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ৮ থেকে ১২ জুন লন্ডনের ওভালে এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজিত হবে। ম্যাচ বৃষ্টির কবলে পড়লে ফলাফল নির্ণয়ের জন্য একটি রিজার্ভ ডেও থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে। গত বারের আইপিএল শেষ হওয়ার পর পরই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজিত হয়েছিল। তবে এবারের আইপিএল মে মাসে শেষ হওয়ার কথা। তাই জুন মাসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজিত হলে, ভারতীয় দল যদি ফাইনালে পৌঁছে, তাহলে সেক্ষেত্রে ফাইনালের প্রস্তুতির জন্য রোহিত শর্মারা যথেষ্ট সময় পাবেন। প্রসঙ্গত, aসরফরাজের পক্ষে গাওস্কর
বেশ কয়েকটি মরসুম ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন সরফরাজ খান (Sarfaraz Khan)। একের পর এক বড় ইনিংস খেলেও অবশ্য অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজগুলিতে একটিও ফর্ম্যাটেও জাতীয় দলে (Team India) ডাক পাননি মুম্বইয়ের ব্যাটার। সরফরাজ জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্রিকেটপ্রেমী থেকে বেঙ্কটেশ প্রসাদের মতো প্রাক্তনীরাও ভারতীয় নির্বাচকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল সুনীল গাওস্করের (Sunil Gavaskar) নাম।
সরফরাজের হয়ে ব্যাট ধরে নির্বাচকদের কড়া সমালোচনা করেন গাওস্কর। পাশাপাশি সরফরাজের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তোলা সমালোচকদেরও জবাব দেন তিনি। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, 'যদি রোগা হওয়াটাই একমাত্র মাপকাঠি হয়, তাহলে তো ফ্যাশন শোতেই গিয়ে কয়েকজন মডেলদের হাতে ব্যাট, বল ধরিয়ে ওদের খেলার উন্নতি করার চেষ্টা করা উচিত। ক্রিকেট কিন্তু এভাবে চলে না। বিভিন্ন ক্রিকেটারদের আকার, আয়তন ভিন্নরকম। চেহারা দেখে নয়, মূল্যায়ণ হোক রান বা উইকেটের বিচারে। ও (সরফরাজ) কিন্তু শতরান করার পর মাঠের বাইরে বসে থাকছে না। ও আবার মাঠে নামে এবং সেটাই ওর ফিটনেস প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট।'
এর পাশাপাশি গাওস্করের আরও দাবি যে শুধুমাত্র ইয়ো-ইয়ো টেস্ট কখনই ফিটনেস যাচাইয়ের মাপকাঠি হতে পারে না। 'ফিটনেস না থাকলে কী করে রান করা সম্ভব? কোনওভাবেই ফিট না হলে একের পর এক শতরান করা যায় না। ক্রিকেট ফিটনেসটাই আসল, ইয়ো-ইয়ো টেস্ট কখনই একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না। সে যেই হোক না কেন, সে যদি ক্রিকেট ফিট হয়, তাহলে বাকি বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করার কোনও মানে হয় না' বলেন গাওস্কর।
আরও পড়ুন: কুস্তি সংস্থার সভাপতির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গঠিত হল সাত সদস্যের কমিটি