মুম্বই: জিম্বাবোয়ের (India vs Zimbabwe) বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে (T20 Series) দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন শুভমন গিল (Subhman Gill) ও যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। আইসিসি ক্রমতালিকায় এগিয়ে এলেন ২ তরুণ প্লেয়ারই। জিম্বাবোয়ের (Zimbabwe) বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি (T20 Sereis) সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারতীয় দল। সেই সিরিজে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন গিল।

  


জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১৪১ রান ঝুলিতে পুরেছিলেন জয়সওযাল। তিনিই সিরিজের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী। আইসিসির তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটারদের ক্রমতালিকায় চারধাপ উঠে ছয় নম্বরে চলে এসেছেন বাঁহাতি ভারতীয় ওপেনার। টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে আছেন ট্রাভিস হেড ও দ্বিতীয় স্থানে আছেন সূর্যকুমার যাদব।


তাঁর সতীর্থ ও জিম্বাবোয়ে সিরিজের ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল টুর্নামেন্টে ৫ ইনিংসে মোট ১৭০ রান ঝুলিতে পুরেছেন। তিনিই সবচেয়ে বেশি রান করেছেন এই সিরিজে। আইসিসি ক্রমতালিকাতেও তার প্রভাব পড়েছে। ৩৭ ধাপ এগিয়ে ৩৬ নম্বরে উঠে এসেছেন ডানহাতি তরুণ ভারতীয় ব্যাটার। রোহিত শর্মার টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে ক্রমতালিকা ৪২। রুতুরাজ অষ্টম স্থানে আছেন। বিরাট কোহলি ৫১ নম্বরে রয়েছে।


জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারতে হয়েছিল ভারতকে। এরপর থেকে টানা চারটি টি-টোয়েন্টিতে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। শেষ ম্য়াচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ভারতীয় দলে ফিরেছিলেন মুকেশ ও রিয়ান। ম্য়াচে বল হাতে মুকেশ ৪ উইকেট নিলেও রিয়ান সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। গিল ও জয়সওয়াল কেউই সেই ম্যাচে রান পাননি। প্রথমজন ১৩ ও দ্বিতীয়জন ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দলের হাল ধরেন সঞ্জু স্য়ামসন। রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে একটি মাত্র অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন। আজ দ্বিতীয় অর্ধতরান হাঁকিয় ফেললেন তিনি।  ৪৫ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। ১৬৭ রান বোর্ডে তুলতে পারে ভারত। ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবোয়ে। খাতা খোলার আগেই মুকেশ কুমারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ওয়েসলি। অন্য়দিকে ব্রায়ান বেনেটকে সঙ্গে নিয়ে এরপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন মারুমানি। কিন্তু আরও একবার মুকেশ কুমার বাধা হয়ে ওঠেন। এবার তিনি ফিরিয়ে দেন বেনেটকে। মারুমানি ও মায়ের্স মিলে এরপর পার্টনাশিপ গড়ে তোলেন। দু জনে মিলে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জিম্বাবোয়ের স্কোরবোর্ড। মারুমানি ২৪ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন। পাঁচটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। কিন্তু সুন্দরের বলে লেগবিফোর হয়ে ফিরে যান শেষ পর্যন্ত। ডিওন মায়ের্স ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। ৪টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। যদিও তাঁকে ফিরিয়ে দেন শিবম দুবে। অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ৮ রান করে আউট হন। এরপর একের পর এক উইকেট নাগাড়ে হারাতেই থাক জিম্বাবোয়ে।