জলন্ধর: বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। এবার আরও একবার আলোচনার কেন্দ্রে যোগরাজ সিংহ। বিশ্বজয়ী প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডারের বাবা এবার মন্তব্য করলেন যে তিনি মৃত্যুর জন্য তৈরি। নিজের জীবনের থেকে মোহ মায়া ত্যাগ করেছেন তিনি। এমনকী জীবন থেকে আর কিছু ইচ্ছেও নেই বলে জানিয়েছেন যোগরাজ সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, ''আমি সন্ধেয় ঘরে একা বসে থাকি। অচেনা লোক এসে আমাকে খাবার দিয়ে যায়। আমার বাড়িতে সবসময়ের জন্য কাজের লোক ও রাঁধুনী রয়েছে। তারা নিজেদের কাজ করে চলে যায়। আমি আমার মা, সন্তান, নাতি-নাতনিদের খুব ভালবাসি। কিন্তু কোনও দিন আমার চাহিদার কথা তাঁদের কাছে বলিনি। আমি এখনই মৃত‌্যুর জন‌্য প্রস্তুত। আমার জীবনে আর কিছু পাওয়ার নেই। ঈশ্বর চাইলে আমাকে এখনই নিয়ে যেতে পারেন। আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।”

Continues below advertisement

যোগরাজের ব্য়ক্তিগত জীবন একেবারেই সুখের ছিল না। দুটো বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কোনওটাই স্থায়ী হয়নি। প্রথম স্ত্রী শবনমের সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়। ছেলে যুবরাজের সঙ্গেও দূরত্ব বেড়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। যুবিকে ক্রিকেটার বানানোর জন্য যোগরাজ না কি রীতিমত অত্যাচার করতেন, যা শবনমও মেনে নিতে পারেননি। স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে পাঞ্জাবি অভিনেত্রী নীনা বুনধেলকে বিয়ে করেছিলেন। এই পক্ষেও যোগরাজের দুটো সন্তান রয়েছে। তবে যুবি ও তাঁর মায়ের ছেড়ে যাওয়ার ইস্যুতে বেশি আঘাত পেয়েছিলেন বলেই জানিয়েছেন যোগরাজ। তিনি বলেছিলেন, ''যুবরাজ ও তার মা শবনম বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় জীবনে সবচেয়ে বড় আঘাত পেয়েছিলাম। যে মহিলার জন‌্য আমি সারা জীবন উৎসর্গ করেছি, তারা কী ভাবে আমায় ছেড়ে চলে যেতে পারে?''

'আমি বাবার মতো নই', বার্তা যুবরাজেরসম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেটে যে তরুণ ক্রিকেটাররা উঠে এসেছেন তাঁদের উত্থানের পেছনে যুবরাজের অবদান রয়েছে অপরিসীম। শুভমন গিল, অভিষেক শর্মা, প্রিয়াংশ আর্য, প্রভসিমরণ সিংহ প্রত্যেকেই যুবরাজের তত্ত্বাবধানে নিজেদের ঘষেমেজে তৈরি করছেন। তথাকথিত কোচিং সার্টিফিকেট নেই যুবির। কিন্তু তবুও এই তরুণ ক্রিকেটারদের সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে যুবরাজের পরিশ্রম। কেরিয়ারের শুরুতে গিল ও অভিষেক মেন্টর হিসেবে যুবরাজকে দেখতেন। এমনকী এখনও কোনও সমস্যা হলে প্রাক্তন বাঁহাতির সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বর্তমানে গিল টেস্ট ও ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে অধিনায়ক। অভিষেক কুড়ির ফর্ম্য়াটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার। 

Continues below advertisement

পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেছেন, ''আমার ও আমার বাবার কোচিংয়ের ধরণ একদমই আলাদা। আমি মনে করি যখন একজনকে কোচিং করাচ্ছি আমি, তখন আমাকে তাঁদের মানসিকতাটা বুঝতে হবে। নিজের বক্তব্য বা ধারণা চাপিয়ে দেওয়া একদমই উচিৎ নয়। যাদের কোচিং করানো হচ্ছে, তাদের বক্তব্যও শোনা উচিৎ, নিজের মতামতও রাখা উচিৎ। একজন ১৯ বছর বয়সির কোচিং করাতে হলে এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে।'