নয়াদিল্লি: ২০০২ সালে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান পার্থিব পটেলের। দীর্ঘ ১৮ বছরের কেরিয়ারে ইতি টেনে সমস্ত ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তিনি। ৩৫ বছরের পার্থিব ভারতের হয়ে ২৫ টেস্ট, ৩৮ একদিনের ম্যাচ ও দুটি টি ২০ ম্যাচ খেলেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে গুজরাটের হয়ে খেলেছেন ১৯৪ টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ।

তরুণ উইকেটরক্ষক হিসেবে ২০০২-এ আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল ৩৫ বছরের পার্থিবের। এর ১৭ বছর ১৫৩ দিন পর সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করলেন পার্থিব। কেরিয়ারের শুরুটা ভালো হলেও ২০০৪-এ দীনেশ কার্তিক এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উত্থানের পর ভারতীয় দলে জায়গা হারান পার্থিব। তবে মাঝেমধ্যেই কামব্যাক ঘটেছে তাঁর।

২০০৪-এ আমেদাবাদে তাঁর প্রথম রঞ্জি ম্যাচে খেলার দু বছর দুই মাস আগে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। পার্থিব সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ওই ম্যাচটা এখনও আমার স্পষ্ট মনে আছে। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল আমাদের। আমি তখন সার্কিটে  প্রতিষ্ঠিত দিল্লির আশিষ নেহরা, আকাশ চোপড়া, অজয় জাডেজা, গৌতম গম্ভীর, মিঠুন মিনহাস, অমিত ভাণ্ডারি, সরনদীপ সিংহ, বিজয় দাহিয়াদের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। ১৫৬ রান তাড়া করে দিল্লি করেছিল ৯ উইকেটে ১০২। আমরা প্রায় জিতে গিয়েছিলাম। আমার কেরিয়ারের শুরুটা খুব ভালো হয়েছিল।

ধোনি,কার্তিকদের কাছে জায়গা হারানোর পর মাধেমধ্যেই ফিরেছিলেন ভারতীয় দলে। কিন্তু নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি। শেষে ঋদ্ধিমান সাহা টেস্টে ভারতের প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক হয়ে ওঠার পর আমেদাবাদের এই ক্রিকেটারের কাছে পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে।

যদিও পার্থিব কখনও হাল ছাড়েননি। আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছেন।

২০১৫-র আইপিএলে তিনি করেছিলেন ৩৩৯ রান। এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন টুর্নামেন্টে চতুর্থ সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী। ওই বছর এভাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ট্রফি জয়ের অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন পার্থিব। ওই বছরের শেষের দিকে তাঁর লিস্ট এ ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির সৌজন্যে গুজরাট প্রথমবার বিজয় হজারে ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।

২০১৬-তে ধোনির স্ট্যান্ডবাই হিসেবে ভারতীয় দলে এসেছিলেন চার বছর পর।

২০১৬-১৭ তে রঞ্জি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আহত ঋদ্ধির জায়গায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দলে ডাক পেয়েছিলেন পার্থিব।

২০২০-র আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলে ছিলেন তিনি।