নয়া দিল্লি : প্রয়াত সুরেশ রায়নার (Suresh Raina) বাবা ত্রিলোকচাঁদ রায়না (Trilokchand Raina)। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। রবিবার গাজিয়াবাদের বাড়িতে মৃত্যু হয় একসময়ের মিলিটারি অফিসার ও অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে বম্ব তৈরিতে দক্ষ ত্রিলোকচাঁদ রায়নার।


জম্মু ও কাশ্মীরের রায়নাওয়াড়ি হচ্ছে সুরেশ রায়নার বাবার পৈত্রিক গ্রাম। ১৯৯০-এ কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যার পর তিনি গ্রাম ছাড়েন। পরে রায়না পরিবার মুরাদনগর গ্রামে বসবাস স্থাপন করে। ত্রিলোকচাঁদ রায়না ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করতেন। তাই সুরেশের ক্রিকেট কোচিংয়ের ফি জোগাড় করতেন পারতেন না তিনি। তাই রায়নাকে ১৯৯৮ সালে লখনউয়ে গুরু গোবিন্দ সিংহ স্পোর্টস কলেজে ভর্তি করা হয়। রায়না জানিয়েছিলেন, কাশ্মীর দুঃখের দিনগুলির কথা যাতে তাঁর বাবার না মনে পড়ে যায় সেব্যাপাররে সব সময় সচেতন থাকতেন তিনি। 


আরও পড়ুন ; থামল সুরঝঙ্কার, প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর


লখনউয়ের গুরু গোবিন্দ সিং স্পোর্টস কলেজে ভর্তি হওয়ার পরই একজন ক্রিকেটার হিসাবে তাঁর যাত্রা শুরু করেন রায়না। রায়নার শক্তি এবং যে কোনও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার ক্ষমতা বেশিরভাগই তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া। রায়নার ওপর ব্যাপক প্রভাব ছিল ত্রিলোকচাঁদের এবং রায়না যখনই ভারতের যেখানেই থাকতেন, সেখানেই দুজন একসঙ্গে থাকতেন। এছাড়াও, যখন তিনি ভারতীয় শিবিরের সাথে ছিলেন না, তখন তিনি গাজিয়াবাদে প্রশিক্ষণ দিতেন। কারণ তিনি তাঁর পিতামাতার কাছাকাছি থাকতে চেয়েছিলেন। ত্রিলোকচাঁদের মৃত্যু এমন এক দিনে এল যখন সমগ্র দেশ লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোকাহত।


গত ৮ জানুয়ারি করোনা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ২৭ দিন ধরে তিনি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। আজ সকালে জীবনাবসান হয় সুর সম্রাজ্ঞীর। সুর সম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে ক্রীড়ামহল। অনিল কুম্বলে, বীরেন্দ্র সহবাগ থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি- শোকপ্রকাশ করলেন একের পর এক ক্রিকেটার।