লিসবন: মাত্র কয়েক মাস আগের ঘটনা। কাতার বিশ্বকাপে তাঁকে প্রথম দলেই রাখা হচ্ছিল না। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতে ফিরেছিল পর্তুগাল (Portugal Football Team)। আর শুকনো মুখে কাতার ছেড়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। প্রবল প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসিকে কাপ জিততে দেখে।


তবে সময় বদলেছে। ফের পর্তুগাল দলে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছেন তিনি। পর্তুগালকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। মঙ্গলবার বিশ্বরেকর্ড গড়লেন পর্তুগালের জার্সিতে। ইউরো কাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে মঙ্গলবার আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল। এই ম্যাচ রোনাল্ডোর কেরিয়ারে দুশোতম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তিনিই প্রথম ফুটবলার, যিনি দেশের হয়ে দুশো ম্যাচ খেললেন। ম্যাচে ১-০ গোলে আইসল্যান্ডকে হারিয়েছে পর্তুগাল। জয়সূচক গোলটিও করেছেন রোলাল্ডো।


ম্যাচের পর সিআরসেভেন বলেছেন, 'আমি ভীষণ খুশি। দুশো ম্যাচ খেলা এমন একটা মাইলফলক যেটা কখনওই কেউ ভাবে না। অবিশ্বাস্য নজির গড়েছি। সবচেয়ে ভাল লাগছে এই ম্যাচে গোল করে দলকে জেতাতে পেরেছি।' 


পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'দুশো ম্যাচ একই রকম দায়বদ্ধতা নিয়ে, নিষ্ঠা নিয়ে, দায়িত্ব নিয়ে খেললাম, ঠিক যেভাবে পর্তুগালের জার্সিতে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলাম। আমি আছি এখনও। গোল করছি। স্বপ্নের পিছনে ছুটে চলেছি। দলের জন্য, দেশের জন্য নিজের সর্বস্ব দিচ্ছি'। 


 






পর্তুগালের জার্সিতে এটা রোনাল্ডোর ১২৩তম গোল। সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা সিআরসেভেন। দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের হয়ে কোনও গোলের মুখ দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে দেশের হয়ে ২০০ তম ম্যাচে গোল পেলেন সিআর সেভেন।


আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্য়াচের একেবারে শেষ মুহূ্র্তে এসে গোলের দেখা পেলেন রোনাল্ডো। ৮৯ মিনিটের মাথায় গোল করেন তিনি। যদিও সেই গোল নিয়ে একটা বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আইসল্যান্ডের ফুটবলাররা অফসাইডের আবেদন করলে রেফারি ভার পদ্ধতির সাহায্য় নেন। সেখানে দেখা যায়, রোনাল্ডো অফসাইড ছিলেন না। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর নামের পাশেই গোল যুক্ত হয়। সব মিলিয়ে সেলিব্রেশনের জন্য মিনিট দুয়েক অপেক্ষা করতে হয় রোনাল্ডোকে।