হেলসিনকি: ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মরসুম ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা এখনও অব্যাহত। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচেও ম্যান ইউনাইটেডের প্রথম একাদশে ছিলেন না রোনাল্ডো। তাই তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ছে।
গত মরসুমে প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ স্থানে শেষ করায় এ মরসুমে রেড ডেভিলসরা ইউরোপের সেরা ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারবে না। পরিবর্তে তাদের খেলতে হবে ইউরোপা লিগে। সেই কারণেই আরও বেশি করে রোনাল্ডোর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা। পর্তুগিজ মহাতারকার ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্লাবের সঙ্গে আলোচনাও হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে, তা সত্ত্বেও স্পষ্ট কোনও ছবি উঠে আসেনি। এরই মধ্যে রোনাল্ডোর আরেক পুরনো ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদেও তাঁর প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
অনুরাগীর আবদার
মাঝসপ্তাহেই ফিনল্যান্ডের হেলসিনকি অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আইনথ্রাখ্ট ফ্রাঙ্কফুর্টের মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ সেই ম্যাচে ২-০ গোলে জয়ী হয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দল রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচ দেখার জন্য উপস্থিত ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্টিনো পেরেজ। ম্যাচ শেষে এক লস ব্লাঙ্কোস সমর্থক পেরেজকে সরাসরি রোনাল্ডোর প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে জিজ্ঞেসই করে বসেন। ওই রিয়াল অনুরাগী পেরেজের উদ্দেশে বলেন, 'সভাপতি, রোনাল্ডো সই করুন।' জবাবে পেরেজও কোনও রাখঢাক না করে নিজের মনোভাব সাফ বুঝিয়ে দেন।
পেরেজের জবাব
পেরেজ বলেন, 'ক্রিশ্চিয়ানো? আবার? ৩৮ বছর (আদপে ৩৭ বছর) বয়সে?' এই উত্তরেই সাফ হয়ে যায় যে রিয়াল 'বুড়ো' রোনাল্ডোকে দলে নিতে একেবারেই তেমন আগ্রহী নয়। প্রথাগতভাবে কোনওদিনই রিয়াল বেশি বয়সি খেলোয়াড়দের দলে তেমন রাখে না। ইকার কাসিয়াস হন বা রাউলের মতো ক্লাব কিংবদন্তি, কেউই শেষ বয়সে রিয়ালে খেলেননি, তাই পেরেজের এই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। রোনাল্ডোর সঙ্গে অবশ্য শুধু রিয়াল নয়, তাঁর ছোটবেলার ক্লাব স্পোর্টিং, চেলসি, এমনকী বায়ার্ন মিউনিখের নামও জড়িয়েছে হালে। তবে কোন জল্পনাই বেশিদূর এগোয়নি। এবার দেখার রোনাল্ডোকে শেষ পর্যন্ত কোন দল কিনতে রাজি হয় বা আদৌ রাজি হয় কি না। কিন্তু দলবদলের ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলে থাকা বা না থাকাটা কিন্তু ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: মূলপর্বের আগে প্রস্তুতি সারতে সেপ্টেম্বরেই জোড়া ম্যাচ খেলবেন সন্দেশ. সুনীলরা