কলকাতা: আমফানের স্মৃতি উস্কে ফের বাংলামুখী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। বুধবার সাগরদ্বীপ ও পারাদ্বীপের মাঝখানে বালাসোরের কাছে হতে পারে ইয়াসের ল্যান্ডফল। কারও কারও আশঙ্কা, আমফানের চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে ইয়াস। রাজ্যের ২০টি জেলায় মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা। রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।






এই পরিস্থিতিতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিল বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা সিএবি। খোলা ময়দানে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন খেলার সঙ্গে য়ুক্ত ক্লাবের তাঁবু। সেই তাঁবুতেই থাকেন সংশ্লিষ্ট ক্লাবের মাঠ তৈরির দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। প্রায় সব তাঁবুরই চাল তৈরি টিন, কর্কেট বা অ্যাসবেস্টস দিয়ে। ঘূর্ণিঝড়ে বড় গাছ তাঁবুর ওপর উপড়ে পড়ে অতীতে বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই বিপত্তির হাত থেকে ময়দানের মালিদের রক্ষা করতে উদ্যোগী হল সিএবি। ইডেন গার্ডেন্সের গ্যালারির নীচে অস্থায়ী আশ্রয়স্থল তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে আগামীকাল অর্থাৎ ২৫ মে সন্ধে থেকে ২৮ মে সকাল পর্যন্ত ময়দানের সমস্ত ক্লাবের মালিদের থাকা ও খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। যাতে গাছ উপড়ে ক্লাব তাঁবুতে পড়লেও প্রাণহানির মতো অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে।


সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বলেছেন, 'খেলাধুলোয় মাঠকর্মীরা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিপদের মুখে তাঁদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করাকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। শুধু ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্তরা নন, অন্যান্য খেলার সঙ্গে যুক্ত ক্লাবের মালিরাও ইডেন গার্ডেন্সের অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে এসে থাকতে পারবেন।' 








ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে রাজ্য। কোথাও দড়ি, বালির বস্তা দিয়ে মজবুত করা হচ্ছে বাড়ির চাল, তো কোথাও আবার চাকায় চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে ট্রেনের বগি। ঝড়ের সময় যেন কোনও দুর্ঘটনা না হয়, সেই জন্য গার্ডের কোচের হ্যান্ড পাওয়ার ব্রেকও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শালিমার রেল ইয়ার্ডে। সাংবাদিকদের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘৪০০০ ত্রাণশিবির তৈরি হয়েচে। ত্রাণশিবিরগুলিতে করোনাবিধি মানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জীবনটা অনেক বড়। সকলে সাবধানে থাকুন। মৎস্যজীবীদের বলছি, সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবেন না। জীবন অনেক দামী। আপনি বাঁচলে আপনার সংসার বাঁচবে।'