রিও ডি জেনেইরো: অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছে। ঐতিহাসিক সাফল্য থেকে এক কদম দূরে থেমে যেতে হয়েছে। তবে তাতে ভেঙে পড়ছেন না দীপা কর্মকার। বরং এবারের অলিম্পিক থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের অলিম্পিকের জন্য তৈরি হচ্ছেন। ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিকে সোনা জয়ই দীপার লক্ষ্য।


 

রবিবার রাতে রিও অলিম্পিকে ভল্টের ফাইনালে চতুর্থ হওয়ার পর দীপা বলেছেন, ‘আমি এবারের অলিম্পিক থেকে পদক আশা করিনি। তবে চতুর্থ হওয়া যথেষ্ট কৃতিত্বের। বক্সিং, কুস্তিতে চতুর্থ হয়েও ব্রোঞ্জ পাওয়া যায়। কিন্তু জিমন্যাস্টিক্সে পাওয়া যায় না। আমি পদকের খুব কাছাকাছি ছিলাম। চার বছর পরে আমার লক্ষ্য থাকবে সোনা জয়।’

 

প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করেই পদক জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন দীপা। চূড়ান্ত সাফল্য না পেলেও তাই হতাশ নন ত্রিপুরার এই বাঙালি কন্যা। তিনি প্রথমবার অলিম্পিকের আসরে যোগ দিয়ে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তাতে খুশি। রবিবার রাতে জীবনের সেরা ভল্ট দিয়েছেন। এর আগে কোনওদিন এত পয়েন্ট পাননি। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁর চেয়েও বেশি পয়েন্ট পাওয়ায় দীপার পদক পাওয়া হল না।

 

দ্বিতীয় ভল্ট হিসেবে প্রদুনোভাই বেছে নিয়েছিলেন দীপা। সফলভাবে তিনি ভল্ট দেন। তবে মাটিতে পড়ার সময় বসে পড়েছিলেন। সেই কারণেই হয়তো আর একটু বেশি পয়েন্ট পাননি। ভাগ্য ভাল থাকলে প্রদুনোভা ভল্টই দীপাকে প্রথম অলিম্পিক পদক এনে দিত। কিন্তু সেটা হয়নি। এবার হল না। তবে পরের অলিম্পিকে নিখুঁত ভল্টের জন্য নিজেকে তৈরি করতে চান দীপা।