পারথ: পাকিস্তানের (PAK vs AUS) বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৪৬ রান বোর্ডে তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া (Cricket Australia)। নিজের শেষ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে দুরন্ত শতরান হাঁকালেন ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। ১৬৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন বাঁহাতি অজি ওপেনার। স্মিথ ও খাওয়াজার সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে দলের স্কোর তিনশোর গণ্ডি পার করে দেন তিনি।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ওপেনিংয়ে উসমান খাওয়াজার সঙ্গে নেমেছিলেন ওয়ার্নার। ওপেনিং জুটিতে ১২৬ রান যোগ করেন ২ জনে মিলে। কিন্তু এরপরই ৪১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন খাওয়াজা। নিজের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি হাঁকান বাঁহাতি অজি ওপেনার। ওয়ার্নাকে অবশ্য কোনওভাবেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখাতে পারেননি শাহিন আফ্রিদি, আগা সালমানরা। শেষ পর্যন্ত ২১১ বলে ১৬৪ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়ন ফিরে যান। আমার জামালের বলে আউট হয়ে যখন ফিরছেন তখন নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৬৪ রান। লাবুশেন ১৬ রানের ইনিংস খেলেন। ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। লোয়ার অর্ডারে ট্রাভিস হেড ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। তিনিও ৬টি বাউন্ডারি হাঁকান।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে আমার জামাল ২ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পান শাহিন আফ্রিদি, খুরাম শেহজাদ ও ফাহিম আশরাফ।
এদিকে, এদিন ২২ গজে প্রথম বল গড়ানোর আগেই ম্যাচ ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। 'অল লাইভস আর ইক্যুয়াল' এবং 'স্বাধীনতা মানুষের অধিকার।'। উসমান খাওয়াজার (Usman Khawaja) জুতোয় লেখা এই শব্দগুলি নিয়েই যত হইচই। যদিও খাওয়াজা জানিয়েছিলেন যে তাঁর এই বার্তা একেবারেই রাজনৈতিক নয়। তাও আইসিসির তরফে তাঁকে এই জুতো জোড়া পরে খেলতে নামার জন্য নিষেধ করা হয়।
মনে করা হচ্ছে গাজা-ইজরায়েল যুদ্ধে (Gaza-Palestine War) ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোরই বার্তা ছিল এটি। মাঠে কোনও রাজনৈতিক বার্তা দিতে পারবেন না খাওয়াজা, আইসিসির তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। খাওয়াজা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি নিয়ম মেনেই চলবেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াইও করবেন। এরপরেই খাওয়াজাকে জুতোতে এই বার্তা লিখে মাঠে নামতে দেওয়া না হলেও, তিনি তাঁর পরিবর্তে কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমেছেন।