নয়াদিল্লি: কুস্তিগীর সাগর ধনখড়ের হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সুশীল কুমারের পুলিশি হেফাজতের জন্য দিল্লি পুলিশের আর্জি খারিজ করল আদালত। পরিবর্তে অলিম্পিক্সে জোড়া পদকজয়ী কুস্তিগীরকে ৯ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল। খবর সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে।



সুশীল কুমারকে আরও কয়েকদিন হেফাজতে চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। তবে বুধবার দিল্লির একটি আদালত তাঁকে ৯ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।


কয়েকদিন আগে অপরাধের ঘটনার পুনর্গঠনের জন্য ছত্রশাল স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয় সুশীল কুমারকে। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ সেখানে নিয়ে যায় অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগীরকে। ওইদিনের ঘটনাক্রম দেখাতে বলা হয় তাঁকে।

গত সপ্তাহের রবিবার গ্রেফতারির পর সোমবার সুশীল কুমারকে প্রায় চার ঘণ্টা জেরা করা হয় বলে জনান পুলিশ আধিকারিকরা। বিভিন্ন দিক থেকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক সিনিয়র আধিকারিক জানান, ঘটনার পর সুশীল কুমার কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন প্রাথমিকভাবে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এছাড়া তাঁকে লুকাতে যেসব বন্ধু এবং সহযোগীরা সাহায্য করেছিলেন তাঁদের নামও জানতে চাওয়া হয়েছিল।  

ছত্রশাল স্টেডিয়ামে এক কুস্তিগীরের হত্যার মামলায় গ্রেফতার হন দেশের হয়ে অলিম্পিক গেমসে পদকজয়ী কুস্তিগীর সুশীল। জানা গিয়েছে, সুশীল ও তাঁর সঙ্গী অজয় কুমারকে বৃহত্তর দিল্লির মুণ্ডকা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। পুলিশের দাবি, গত ৪ মে ছত্রশাল স্টেডিয়ামে ২৩ বছরের সাগর ধনখড়কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর পশ্চিম দিল্লির মডেল টাউনে ছত্রশাল স্টেডিয়ামের গাড়ি রাখার জায়গায় সুশীল কুমার, অজয়, প্রিন্স, সোনু, সাগর, অমিত এবং আরও কয়েকজন বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সাগর ও তাঁর বন্ধুরা মডেল টাউন অঞ্চলে স্টেডিয়ামের কাছেই একটি বাড়িতে থাকছিলেন। সেই বাড়ি খালি করার জন্য তাঁদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সম্ভবত সেটা নিয়েই বচসা হয়। ঘটনার দিন গভীর রাতে থানায় ফোন করে জানানো হয়, ছত্রশাল স্টেডিয়ামে দুই ব্যক্তির মধ্যে বচসায় জখম হয়েছেন একজন। আহত ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় অন্য একটি হাসপাতালে। বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এছাড়া ওই ঘটনায় আহত হন সাগরের দুই বন্ধু। ঘটনায় নাম জড়ায় সুশীলের।