নয়াদিল্লি: বিশ্বনাথন আনন্দের পর ডি গুকেশ। ফের দাবায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিশ্বজয় গুকেশের। ভারতের আঠারোর স্পর্ধায় গুঁড়িয়ে গেল চিনের প্রাচীর। গতবারের চিনা বিশ্বজয়ীকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব ছিনিয়ে নিলেন ডি গুকেশ। গতবারের বিশ্বজয়ী ডিং লিরেনকে হারালেন ৭.৫ - ৬.৫-এ। চৌষট্টি খোপের লড়াইয়ে ফের ভারত জগৎসেরা।
গুকেশের সাফল্যের পর এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলার গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া জানিয়েছেন, ''অসাধারণ একটা খবর, আমাদের ভারতীয়দের কাছে গর্বের দিন। ১৮ বছর বয়সে ১৮ তম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কনিষ্ঠতম বিশ্বচ্যাম্পিয়নও। হ্যাটস অফ টু গুকেশ। গুকেশ ও তাঁর টিমকে অভিনন্দন জানাই। গত ৬-৮ মাস ধরে দারুণ পারফর্ম করে এসেছে। ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। হার না মানার মানসিকতা রয়েছে গুকেশের। এটাই প্রমাণ করল যে ও সত্যি কারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্য।''
বিশ্বনাথন আনন্দের পর ভারতের দ্বিতীয় দাবাড়ু হিসাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ডি গুকেশ। তাঁকে অভিনন্দনে ভরালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ক্রিকেট মাঠের কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকররা।
রাষ্ট্রপতি মুর্মু লিখেছেন, 'গুকেশকে আন্তরিক অভিনন্দন। বিশ্বের কনিষ্ঠতম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু। ভারতকে গর্বিত করেছো। দাবায় ভারতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছো। খুব ভাল করেছো গুকেশ। প্রত্যেক ভারতীয় হয়ে তোমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, 'অবিস্মরণীয় সাফল্যের জন্য অনেক অভিনন্দন গুকেশ। প্রতিভা, পরিশ্রম আর সংকল্পের পুরস্কার পেয়েছে। ওর সাফল্য শুধু দাবায় ওর নামটা অমর করে রাখল তাই নয়, নতুন প্রজন্মকে খেলাটার প্রতি আরও আকৃষ্ট করল।'
কিংবদন্তি দাবাড়ু গ্যারি কাসপারভের রেকর্ড ভেঙে দিলেন গুকেশ। ১৯৮৫ সালে ২২ বছর বয়সে দাবায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন গুকেশ। রাশিয়ার দাবাড়ুই এতদিন ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সেই কীর্তি ছাপিয়ে নতুন মাইলফলক গড়লেন গুকেশ।
বৃহস্পতিবারের আগে পর্যন্ত গুকেশ ও ডিং - দুজনেরই ঝুলিতে ছিল ৬.৫ পয়েন্ট করে। ১৩ গেমের পর। ১৪তম গেমে সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ডিং। যিনি খেতাবরক্ষার লড়াইয়ে নেমেছিলেন। একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হচ্ছিল যে, ড্রয়েই সন্তুষ্ট থাকবেন ডিং। কিন্তু ৫৩তম চালে বড় ভুল করেন চিনের দাবাড়ু। শেষ পর্যন্ত গুকেশের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেন তিনি।