তাসখন্ত: আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) তাঁকে দেখা যাবে না। সুযোগ পাননি। কিন্তু তিনি যে ফুরিয়ে যাননি, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন দীপা কর্মকার (Dipa Karmakar)। প্রথম ভারতীয় জিমন্য়াস্ট হিসেবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Championship) এবার সোনা জিতলেন ত্রিপুরার এই মেয়ে। তাসখন্তে আয়োজিত চ্যাম্পিয়নশিপে দীপা ভল্ট ফাইনালে মোট ১৩.৫৬৬ স্কোর করেন। তিনি হারিয়ে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে। ১৩.৪৬৬ স্কোর করে রুপো জেতেন কিং সন হ্য়াং ও ব্রোঞ্জ জেতেন জো কিয়ং রিয়ল। তার স্কোর ১২.৯৬৬। 


গত শুক্রবার ভারতীয় জিমন্যাস্টরা মোট ৪৬.১৬৬ স্কোর করেছিলেন। তালিকায় ১৬ নম্বর স্থানে শেষ করেছিলেন তিনি। যার ফলে প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন ভারতীয় জিমন্য়াস্টরা। অলিম্পিক্সের মঞ্চে ভারতের কোনও জিমন্য়াস্টকেই দেখা যাবে না এবার। অথচ রিও অলিম্পিক্সে এই জিমন্য়াস্টে প্রদুোনোভা ভল্টে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া করেছিলেন দীপা। কিন্তু সেখান থেকেই তাঁর পরিচিতি আরও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ২০১৬ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন দীপা। তবে এবার সোনা জিতলেন। এর আগে কোনও ভারতীয় জিমন্যাস্ট এই চ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে সোনা জেতেননি। 


 






চোট আঘাত বারবার কেরিয়ারে বাধা হয়েছে দীপার। ৩০ বছরের এই তরুণী ডােপ টেস্টে ব্যর্থ হয়েও প্রায় ২১ মাসের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন।আন্তর্জাতিক টেস্টিং এজেন্সি জানিয়েছিল, দীপা কর্মকারের শরীরে হাইজিনামিন নামের একটি নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। এই উপাদানটি ফুসফুসে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। গত বছর ১০ জুলাই পর্যন্ত এই নির্বাসন অব্যাহত ছিল। প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হলেও গত বছর এক সাক্ষাৎকারে দীপা জানিয়েছিলেন, ''আমি এখন সম্পূর্ণ ফিট। চোট লাগতে পারে, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়েই প্রোদুনোভা ভল্ট শুরু করেছিলাম। কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর কাছে প্রস্তুতি শুরু করেছি। নিজের সেরাটা দিচ্ছি। যাতে অন্তত একটা অলিম্পিক্স পদক জিততে পারি, আর তারপর অবসর নিতে পারি।''


চোট আঘাত বারবার আঘাত ফেলেছে কেরিয়ার। কিন্তু এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সোনা জয় নিঃসন্দেহে দীপার কেরিয়ারের সেরা সাফল্য বলাই যায়।