করোনা পরিস্থিতির জেরে গত কয়েকমাস ধরে আগরতলায় নিজের বাড়িতেই থাকতে বাধ্য হচ্ছেন দীপা। সেখান থেকে ফোনে এবিপি আনন্দকে এই ভিডিওটির বিষয়ে তিনি জানালেন, ‘বাচ্চা মেয়েটা কে আমি জানি না। আমার ম্যানেজারের কাছে ভিডিওটা পাঠিয়েছিল। ও আমাকে দেখায়। ভিডিওটা দেখে আমার খুব ভাল লেগেছে। বাচ্চাটা দুর্দান্ত জিমন্যাস্টিক্স করছে।’
রিও অলিম্পিক্সে ভল্টে চতুর্থ হয়ে সারা বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছেন দীপা। এই পারফরম্যান্সের পর তিনি বহু সম্মান পেয়েছেন। ২০১৫ সালেই অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে রাজীব গাঁধী খেলরত্ন পুরস্কার পান। এরপর ২০১৭ সালে পদ্মশ্রীও পান। তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী দ্রোণাচার্য সম্মান পেয়েছেন। কিন্তু নিজের ভবিষ্যৎ কী দেখছেন ত্রিপুরার এই বাঙালি জিমন্যাস্ট? তিনি জানালেন, ‘ভবিষ্যতে যে প্রতিযোগিতা হবে, তাতে যোগ দেব। করোনা পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। তার মধ্যেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সহ ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতাগুলির জন্যও তৈরি হতে হবে।’
করোনার জেরে পিছিয়ে গিয়েছে টোকিও অলিম্পিক্স। এই প্রতিযোগিতা হবে আগামী বছর। এর ফলে কি দীপার অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা হল? এই জিমন্যাস্ট বলছেন, ‘অলিম্পিক্স পিছিয়ে যাওয়ায় অবশ্যই কিছুটা সুবিধা হয়েছে। এখন আমি যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ পাব। নিজেকে তৈরি করারও সময় পাব। তবে এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না। অলিম্পিক্সে যাতে আবার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব।’
দীপা আরও জানিয়েছেন, ‘লকডাউনে পাঁচ মাস আমি বাড়িতে বসেছিলাম। ১০ তারিখ থেকে জিম খুলেছে। এখন সকালে জিম আর বিকেলে ফিটনেস ট্রেনিং চলছে। পুরোমাত্রায় ফিটনেস ফিরে পেতে কিছুটা সময় লাগবে। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’