মুম্বই: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জাতীয় দল থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার পর থেকেই নির্বাচকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সুনীল গাওস্করের মত কিংবদন্তিও পূজারার মত অভিজ্ঞ ব্যাটারকে বাদ দেওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ২টো ইনিংসে ব্যর্থতার জন্য কেন এভাবে গোটা সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হল পূজারাকে, তা নিয়ে অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই প্রশ্ন তুলেছেন। তবে নির্বাচকদের পাশে দাঁড়িয়ে পূজারাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে বাদ দেওয়াকেই সমর্থন করলেন লালচাঁদ রাজপুত। 


এক সাক্ষাৎকারে লালচাঁদ রাজপুত বলেন, ''আমার মনে হয় এটা একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। আমাদের ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কথা মাথায় রাখতে হবে। এই পরিস্থিতিতে তরুণ ক্রিকেটারদের তুলে আনতে হবে এখনই। ওদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাত পাকানোর সুযোগ দিতে হবে। আশা করি আরও অসংখ্য তরুণ প্লেয়ার জাতীয় দলের জার্সিতে আগামীতে খেলবে। আর রুতুরাজ ও জয়সওয়াল তো প্রচুর রান করে এসেছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। তাই ওরা টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার যোগ্য দাবিদার।'' রঞ্জি ট্রফিতে ধারাবাহিক পারফর্ম করার পরও জাতীয় দলে সরফরাজ খানের ডাক না পাওয়ায় অবশ্য কিছুটা অবাক প্রাক্তন এই জাতীয় ক্রিকেটার। তিনি বলছেন, ''তিন বছর ধরে টানা পারফর্ম করে আসার পরও যদি জাতীয় দলে না সুযোগ মেলে তবে কোনও কারণ নিশ্চয় আছে। কিন্তু ঠিক কেন ওকে নেওয়া হল না তা আমিও জানি না। তবে আমিও মনে করি সরফরাজের সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল।''


উল্লেখ্য, পূজারার দল থেকে বাদ পড়াটা অনেক বিশেষজ্ঞই মেনে নিতে পারেননি। সুনীল গাওস্করের মতো প্রাক্তনীরা তো সরাসরি দাবি করেছেন গোটা ব্যাটিং লাইনআপই ব্যর্থ হলেও, কেবলমাত্র পূজারাকেই কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। পূজারা কোনদিনই খুব বেশি কথা বলেন না। তিনি ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরেও শব্দ খরচ করেননি। বরং সোশ্য়াল মিডিয়ায় নিজের অনুশীলন করার একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। কোনও কিছু লেখার বদলে ব্যাট বল ও লাল হৃদয়ের একটি ইমোজি দিয়েই ভিডিওটি শেয়ার করেন তিনি।


এদিকে টেস্ট দল থেকে বাদ পরেই দলীপ ট্রফি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পূজারা। ২৮ জুন থেকে শুরু হয়েছে এ মরশুমের দলীপ ট্রফি। শেষ হবে ১৬ জুলাই। অপরদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের পর ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হবে ২৭ জুলাই। ভারতের ওয়ান ডে স্কোয়াডে রয়েছেন সূর্যকুমার। তবে সেই সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই দলীপ ট্রফি শেষ হয়ে যাবে। তাই গোটা টুর্নামেন্টেই খেলতে পারবেন সূর্যকুমার। প্রসঙ্গত, গত মরশুমের দলীপ ট্রফি খেতাব জিতেছিল পশ্চিমাঞ্চল। সেই সুবাদেই এ বারের টুর্নামেন্টে সরাসরি শেষ চারে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে পশ্চিমাঞ্চল। তাই এরপর দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালেই সূর্যকুমার ও চেতেশ্বর পূজারাকে খেলতে দেখা যাবে।