মুম্বই: একা লড়লেন হনুমা বিহারী। অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন তিনি। তবে দলীপ ট্রফির (Duleep Trophy) ফাইনালে পশ্চিমাঞ্চলের (West Zone) বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারাল দক্ষিণাঞ্চল (South Zone)। প্রথম দিনের শেষে বোর্ডে মাত্র ১৮২ রানই তুলতে পারে। ভাল শুরু করেই বড় রান করতে ব্যর্থ হন ময়ঙ্ক আগরওয়াল। তিনি মাত্র ২৮ রান করে ফেরেন। তিলক ভার্মা ৪০ রান করে ফেরেন। রবিকুমার সামর্থ ৭ রান করেন। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন রবিকুমার সামর্থ। তিনি ৭ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। 


তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিলক ভার্মা। তিনি ৮৭ বলে ৪০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। নিজের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিলক। হনুমা তাঁর ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি হাঁকান। লোয়ার অর্ডারে কেউই রান পাননি। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তিনি ৯ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। পশ্চিমাঞ্চলের বোলারদের মধ্যে নাগাশ্বলা ও চিন্তন গাঁজা ২টো উইকেট নেন। 


ডমিনিকায় দুরন্ত অশ্বিন


বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তিনি ভারতের প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি। রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) ও রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) টিম ম্যানেজমেন্টের মনে হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বার্মিংহামের সেই ফাইনালে একমাত্র স্পিনার হিসাবে খেলা উচিত রবীন্দ্র জাডেজারই (Ravindra Jadeja)। টেস্টে বিশ্ব ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা স্পিনারকে তাই বাইরেই বসতে হয়েছিল। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা অনেকেই ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি।


প্রথম একাদশে ফিরে সেই আর অশ্বিন (R Ashwin) ঘূর্ণির জাল বুনে বিপাকে ফেলে দিলেন ক্যারিবিয়ান শিবিরকে। তাঁর স্পিন ফাঁদে আটকে ফিরলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের (Ind vs WI) দুই ওপেনার। তাও টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে। এমন এক বাইশ গজে, যেখানে পেসারদের জন্য বাড়তি বাউন্স রয়েছে। অথচ সেখানে দলে সুযোগ পেয়েই অশ্বিন দেখিয়ে দিলেন, কেন তাঁকে বাদ দেওয়া নিয়ে এত প্রশ্ন উঠেছিল। দেখিয়ে দিলেন, অভ্রান্ত লাইন-লেংথে বল করলে তার পুরস্কার পাওয়া যায়। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শার্দুল ঠাকুর ও রবীন্দ্র জাডেজা।


অশ্বিনের দাপটে প্রথম দিন লাঞ্চ বিরতিতে বেশ চাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করে মাত্র ৬৮ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৮ ওভারের শেষে।