কলকাতা: যুবভারতী স্টেডিয়ামে (Yubabharati Stadium) তখনও থিতু হয়ে বসেননি দর্শকেরা। রেফারি সবেমাত্র কিক অফের বাঁশি বাজিয়েছেন। ম্যাচের ৩০ সেকেন্ডে কর্নার পেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। শর্ট কর্নার থেকে হেড করে বল হাওয়ায় ভাসান নওরেম মহেশ (Naorem Mahesh)। ফের হেড করে বল গোকুলাম এফসি-র জালে জড়িয়ে দেন জর্ডন এলসি। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৪৬ সেকেন্ড।


প্রথমার্ধের শুরুতেই জর্ডন এলসির করা গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধে গোকুলাম এফসি-র বিরুদ্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল


মোহনবাগানকে টপকে এ-গ্রুপ থেকে এক নম্বরে থেকে চলতি ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শেষ আটের লড়াইয়ে লাল-হলুদ শিবির মুখোমুখি গোকুলাম কেরালার। সি-গ্রুপ থেকে এক নম্বরে থেকে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট হাতে পায় গোকুলাম। বেঙ্গালুরু এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্সের মতো প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিয়ে শেষ আটের যোগ্যতা অর্জন করে গোকুলাম। এখন দেখার যে, যুবভারতীতে শেষ হাসি হাসে কারা। সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করে কোন দল।


ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করেছে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শুরুর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই কর্নার আদায় করে নেয় লাল-হলুদ শিবির। শর্ট কর্নার থেকে মহেশের ভাসানো বল জর্ডনের দিকে বাড়িয়ে দেন বোরহা। হেডে গোল করতে ভুল করেননি জর্ডন এলসি।


২৩ মিনিটের মাথায় সিভেরিওকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন গোকুলামের বসিত। ২৬ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের সৌভিক ও বোরহা। ৩২ মিনিটের মাথায় সাউল ক্রেসপোর জোরাল শট গোকুলামের ক্রসবারে প্রতিহত হয়। কর্নার থেকে ভাসানো বল সতীর্থর পা ঘুরে বক্সের ভিতরেই সাউলের কাছে চলে আসে। কার্যত অরক্ষিত ছিলেন ক্রেসপো। তিনি জোরাল শট নেন। তবে ভাগ্য সঙ্গ না দেওয়ায় ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়া হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-০ গোলে।                                                                                       


আরও পড়ুন: কোহলি-গেলদের খেলে যাওয়া মাঠে নেশার আসর! কাঠগড়ায় ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial