কলকাতা: মরশুমের শুরুতেই ডার্বি-জয়। তার পরে পাঞ্জাব এফসি-কে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। পরপর দুই সাফল্য পেয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) এফসি শিবির। এই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে শুক্রবার যদি গোকুলাম কেরালা এফসি-কেও হারাতে পারে স্প্যানিশ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতের দল, তা হলে সেমিফাইনালের দরজাও খুলে যাবে। যেখানে তাদের মুখোমুখি হবে নর্থইস্ট ইউনাইটেড, যারা বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনা দলকে ১-০-য় হারিয়ে শেষ চারে উঠে পড়ল।
প্রাক মরশুম প্রস্তুতি চলছে। তার মধ্যে অন্য দিকে চলছে কলকাতা ফুটবল লিগও। এই অবস্থায় দু’দিক সামলে সাফল্যের রাস্তায় এগিয়ে চলা মোটেই সোজা নয়। তবু প্রাক্তন আইএসএল জয়ী কোচ কুয়াদ্রাতের উদ্যোগে লাল-হলুদ বাহিনী কিন্তু সেই রাস্তা দিয়েই হাঁটতে শুরু করেছে। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচেও জয় প্রায় হাতের মুঠোতেই চলে এসেছিল তাদের। কিন্তু শেষ দিকের ক্লান্তিই তাদের ড্রয়ের পথে নিয়ে যায়।
মরশুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হারেনি তারা। ডুরান্ড তো বটেই, এমনকী কলকাতা লিগেও অপরাজিত লাল-হলুদ বাহিনী। শতাধিক বর্ষের ঐতিহ্য যে ক্লাবের, ঝাঁকে ঝাঁকে সাফল্যের স্মারক যে ক্লাবের তাঁবুতে জ্বলজ্বল করছে, সেই ক্লাবের তো এ ভাবেই এগোনো উচিত। অনেক বছর পরে যখন সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটেছে, তখন সেই হাসি ধরে রাখাই কুয়াদ্রাত ও তাঁর দলের ফুটবলারদের সবচেয়ে বড় কাজ। শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেই কাজটাই করতে নামবে তারা।
ইস্টবেঙ্গল তিন ম্যাচে চার গোল দিয়ে দু’গোল হজম করেছে। যদিও শেষ দুই ম্যাচে তারা কোনও গোল খায়নি, এমনকী ডার্বিতেও না। সে দিক থেকে দেখতে গেলে তারা কিন্তু গোকুলামের চেয়ে ভাল জায়গায় রয়েছে। কেনই বা থাকবে না? যে দলে বোরহা হেরেরা ও হাভিয়ে সিভেরিও-র মতো স্ট্রাইকার রয়েছেন, সেই দলকে গোল নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হবেই বা কেন?
দুই স্প্যানিশ অ্যাটাকারকে গোলের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য সল ক্রেসপো, মহেশ সিংয়ের মতো মিডফিল্ডার রয়েছেন। এ ছাড়াও নন্দকুমার শেখরের মতো সুযোগসন্ধানী উইঙ্গার রয়েছেন কুয়াদ্রাতের হাতে। এঁদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন গত মরশুমে দলের সেরা তারকা ব্রাজিলের ক্লেটন সিলভা। গত দুই ম্যাচে পরখ করে নিয়েছেন কোচ। গত এক সপ্তাহের বিরতির পর এ বার তাঁকে হয়তো শুরু থেকে খেলানোর কথা ভাববেন কুয়াদ্রাত। সে জন্যই হয়তো গত কয়েক দিনের অনুশীলনে ক্লেটনকে অনেকটা সময়ও দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে আক্রমণাত্মক দল হিসেবে ইস্টবেঙ্গলকে এখন যথেষ্ট শক্তিশালীই মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোহলি-গেলদের খেলে যাওয়া মাঠে নেশার আসর! কাঠগড়ায় ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন