Derby 2023 Live: ডার্বিতে দুরন্ত জ্বলল লাল হলুদ মশাল, নন্দকুমারের গোলে বাগান বধ ইস্টবেঙ্গলের
Durand Cup Derby 2023: শনিবার বিকেলে সারা শহরের সব পথ গিয়ে মিশবে একই গন্তব্যে, বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন বা সল্টলেক স্টেডিয়াম। বেজে উঠবে একশো বছরেরও বেশি বয়সি ফুটবল যুদ্ধের দামামা।
দুরন্ত জয় ইস্টবেঙ্গলের। ডার্বিতে ১-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল লাল হলুদ শিবির।
১৬৫৭ দিন পরে ডার্বিতে জয়ের হাতছানি লাল হলুদ শিবিরের সামনে।
৬ মিনিট ইনজুরি টাইম দিলেন রেফারি। কামিংস আসায় আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়লেও এখনও গোলশোধ করতে পারেনি মোহনবাগান।
শুরু বৃষ্টি। এখনও ১-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল।
৮১ মিনিটের মাথায় সহজ সুযোগ মিস কামিংসের। অনিরুদ্ধ থাপার থ্রু থেকে বল পেয়েও তা জালে জড়াতে ব্যর্থ হলেন বাগান ফুটবলার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুর্দান্ত গোল ইস্টবেঙ্গলের। ৬০ মিনিটের মাথায় নন্দকুমারের গোলে ১-০ তে এগিয়ে গেল লাল হলুদ শিবির।
খেলার ৫৬ মিনিটের মাথায় অল্পের জন্য গোল পেল না মোহনবাগান। আনােয়ার আলির দুর্দান্ত শট অল্পের জন্য বারপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত।
খেলার ৪৮ মিনিটের মাথায় মনবীরকে বাজেভাবে ট্যাকেল করায় হলুদ কার্ড দেখতে হল সৌভিক চক্রবর্তীকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই উইং ধরে এগোচ্ছিলেন মাহেশ। কিন্তু দারুণ ট্যাকেল করলেন আনোয়ার আলি।
৪ মিনিট ইনজুরি টাইম ঘোষণা করেছিলেন রেফারি। খেলার প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইন ইস্টবেঙ্গল ০- মোহনবাগান ০
প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে বুমোসের ফ্রি কিক দুর্দান্তভাবে সেভ করলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক গিল।
৪২ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক পেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। খাবরার শট নিলেও তা গোলমুখে পৌঁছানোর আগেই ক্লিয়ার করে দিলেন বাগান ডিফেন্ডাররা।
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে উইং ধরে বক্সে ঢোকার প্রতিনিয়ত চেষ্টা সিভেরিওর। দুর্দান্ত ট্য়াকেল অনিরুদ্ধ থাপার।
ম্যাচের দিনই সকালে শহরে পৌঁছেছেন ক্লেটন সিলভা। যদিও তাঁকে একাদশের বাইরে রেখেই দল মাঠে নামিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত।
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের বক্সে আক্রমণ বাড়াচ্ছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস।
মরসুমের প্রথম ডার্বিতে নামতে চলেছে কলকাতার ২ প্রধান।
প্রেক্ষাপট
শনিবার কলকাতায় আবার ডার্বি। যে জন্য গোটা কলকাতা, তথা গোটা বাংলা ফের দ্বিখণ্ডিত। ময়দানে টিকিটের জন্য চেনা হাহাকার, চেনা সর্পিল লম্বা লাইন, একে অপরকে দেখে দুই দলের সমর্থকদের আস্ফালন, শহরের আনাচে কানাচে ঘটি-বাঙালের অঘোষিত যুদ্ধ, কোথাও তা অম্ল-মধুর, কোথাও বেশ সরগরম।
শনিবার বিকেলে সারা শহরের সব পথ গিয়ে মিশবে একই গন্তব্যে, বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন বা সল্টলেক স্টেডিয়াম। বেজে উঠবে একশো বছরেরও বেশি বয়সি ফুটবল যুদ্ধের দামামা। যাকে কেউ বলে ডার্বি, কেউ বলে বড়ম্যাচ। তবে এটিই যে জনপ্রিয়তায় ও ঐতিহ্যে এশিয়ার সেরা ফুটবল ডার্বি, এই নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। মাঠের বাইরে দুই ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে যতই যুদ্ধংদেহী মেজাজ থাকুক, গত কয়েক বছর ধরে ডার্বিতে কিন্তু মাঠে সেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উদাও। গত আটটি ডার্বিতে টানা জিতে আসছে সবুজ-মেরুন শিবির, এই মরশুম থেকে নাম বদলে যারা হয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
১৩৫ বছর বয়স যে টুর্নামেন্টের, সেই ডুরান্ড কাপে একশো বছরেরও বেশি সময়ের এক চিরপ্রতিদ্বন্দিতা। কলকাতা ডার্বি ছাড়া এমন এক ঐতিহাসিক মিলনমেলা আর কোথায়ই বা পাওয়া যাবে? সেই ১৯৫৭-য় ডুরান্ড সেমিফাইনালে প্রথম দেখা কলকাতার দুই ফুটবল-দৈত্যের। তার পর থেকে এই টুর্নামেন্টে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট কুড়িবার। আটবার জিতেছে লাল-হলুদ শিবির ও সাতবার সবুজ-মেরুন বাহিনী। ড্র হয়েছে পাঁচবার। গত বছরও গ্রুপ পর্বেই দুই দলের লড়াই হয়। তাতে ১-০-য় জিতেছিল তৎকালীন এটিকে মোহনবাগান। এ বার কী হবে?
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -