কলকাতা: শুক্রবার দিনভর বৃষ্টি। যুবভারতী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় যখন ম্যাচ শুরু হল, অঝোরে ঝরছে। বৃষ্টিস্নাত মাঠেও অবশ্য লাল-হলুদ ঝড় উঠল। গোকুলাম কেরালা এফসি-কে ২-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল।
যুবভারতী স্টেডিয়ামে (Yubabharati Stadium) তখনও থিতু হয়ে বসেননি দর্শকেরা। রেফারি সবেমাত্র কিক অফের বাঁশি বাজিয়েছেন। ম্যাচের ৩০ সেকেন্ডে কর্নার পেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। শর্ট কর্নার থেকে হেড করে বল হাওয়ায় ভাসান নওরেম মহেশ (Naorem Mahesh)। ফের হেড করে বল গোকুলাম এফসি-র জালে জড়িয়ে দেন জর্ডন এলসি। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৪৬ সেকেন্ড।
প্রথমার্ধের শুরুতেই জর্ডন এলসির করা গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধে গোকুলাম এফসি-র বিরুদ্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
২৩ মিনিটের মাথায় সিভেরিওকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন গোকুলামের বসিত। ২৬ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের সৌভিক ও বোরহা। ৩২ মিনিটের মাথায় সাউল ক্রেসপোর জোরাল শট গোকুলামের ক্রসবারে প্রতিহত হয়। কর্নার থেকে ভাসানো বল সতীর্থর পা ঘুরে বক্সের ভিতরেই সাউলের কাছে চলে আসে। কার্যত অরক্ষিত ছিলেন ক্রেসপো। তিনি জোরাল শট নেন। তবে ভাগ্য সঙ্গ না দেওয়ায় ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়া হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-০ গোলে।
তবে বিরতির পরই চাপে পড়ে যায় লাল-হলুদ শিবির। খানিকটা খেলার গতির বিরুদ্ধেই গোল খেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৫৭ মিনিটের মাথায় বৌবার গোলে ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরায় গোকুলাম কেরালা। বক্সের ভিতর থেকে হেডে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়ান আমিনৌ বৌবা।
৭৬ মিনিটের মাথায় গোকুলাম রক্ষণের ভুলে বক্সের মধ্যেই ফাঁকায় বল পেয়ে যান ক্লেটন। তবে তাঁর শট সরাসরি চলে যায় কেরালা গোলকিপারের দস্তানায়। ৭৮ মিনিটের মাথায় সাউলের দূরপাল্লার শট বৌবার গায়ে লেগে গোকুলামের জালে জড়িয়ে যায়। ইস্টবেঙ্গল ২-১ গোলে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সেই স্কোরলাইনেই শেষ হয় ম্যাচ। সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন: কোহলি-গেলদের খেলে যাওয়া মাঠে নেশার আসর! কাঠগড়ায় ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন