কলকাতা: বাংলার চার দলের মধ্যে প্রথম ক্লাব হিসেবে ডুরান্ড কাপের (Durand Cup 2025) কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। হোসে মোলিনার ছেলেদের ৩ ম্যাচে সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট।
ডুরান্ড কাপের নক আউট পর্বে যেতে হল জিততেই হতো সবুজ-মেরুন শিবিরকে। শনিবার ডায়মন্ড হারবার এফসি-কে দাঁড়াতেই দিল না মোহনবাগান। ডুরান্ড কাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ডায়মন্ড হারবারকে ৫-১ গোলে চূর্ণ করল তারা। শীর্ষে থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান। বিদেশিদের পাশাপাশি গোল পেলেন স্বদেশীয় ফুটবলাররাও। মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন অনিরুদ্ধ থাপা, জেমি ম্যাকলারেন, লিস্টন কোলাসো, সাহাল সামাদ এবং জেসন কামিংস। ডায়মন্ড হারবারের একমাত্র গোল লুকা মায়সেনের।
সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল হিসাবেই পরিচিত ডায়মন্ড হারবার এফসি। আসন্ন আই লিগে খেলবে তারা। পঞ্জাব এফসি থেকে মায়সেনকে আনার পাশাপাশি ক্লেটন সিলভেইরার মতো বিদেশিকে সই করিয়ে শক্তিশালী দল গড়েছে তারা। ডুরান্ড কাপে বিএসএফ-কে আট গোল দেওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, মোহনবাগানের কাজও কঠিন করে তুলবে তারা।
যদিও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারল না ডায়মন্ড হারবার। পাঁচটি গোলই তারা হজম করেছে রক্ষণের দোষে। মোহনবাগান পূর্ণ শক্তির দল নামাতে পারেনি। চোট-আঘাতের জন্য অনেক ফুটবলারই ছিলেন না। তাও সবুজ-মেরুন ঝড় উঠল।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ডায়মন্ড হারবার ভালই করেছিল। হোসে মোলিনা প্রথম একাদশে রেখেছিলেন জেমি ম্যাকলারেনকে। যদিও কিক অফের পর ১৫ মিনিটের মাথায় সুযোগ নষ্ট করেন ম্যাকলারেন। প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে একা পেয়েও তাঁর গায়ে বল মারেন।
তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মোহনবাগানকে। ১৯ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল তাদের। সাহালের বাড়ানো বল ধরে দূর থেকে নিখুঁত শটে গোল করেন অনিরূদ্ধ থাপা।
এগিয়ে যাওয়ার সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কারণ, পাঁচ মিনিট পরেই সমতা ফেরায় ডায়মন্ড হারবার। মোহনবাগানের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গোল করেন মায়সেন।
প্রথমার্ধে ফের এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ৩৫ মিনিটের মাথায় গোল করেন ম্যাকলারেন। বিরতি পর্যন্ত স্কোরলাইন ছিল মোহনবাগানের পক্ষে ২-১।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাকলারেনের পরিবর্তে জেসন কামিংসকে নামান মোলিনা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের নরেশ। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখান। পেনাল্টি থেকে গোল করেন লিস্টনই। এ নিয়ে ডুরান্ডের তিনটে ম্যাচেই গোল করলেন তিনি। ৩-১ এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
দশ জন হয়ে যাওয়ার পর ডায়মন্ড হারবারের খেলার ধার কমে যায়। ৬৪ মিনিটে ৪-১ করেন সাহাল। ডায়মন্ড হারবারের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন কামিংস। খেলা শেষের দশ মিনিট আগে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে ৫-১ করেন কামিংস। ডায়মন্ড হারবারের সামনে সেরা দ্বিতীয় দল হয়ে নক আউটে ওঠার সুযোগ অবশ্য এখনও থাকছে।