কলকাতা: ১০ জনের এফ সি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডকে অতিরিক্ত সময়ে ৪-২ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ২-২ গোলে শেষ হয়। এরপর অতিরিক্ত সময়ে বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড ১০ জনে হয়ে যাওয়ার পর দু’টি গোল করে ম্যাচ জিতে নেয় সাদা-কালো ব্রিগেড।


মহমেডান স্পোর্টিং শেষবার ডুরান্ড কাপ জিতেছিল ২০১৩ সালে। এবার কলকাতায় এই শতাব্দী প্রাচীন প্রতিযোগিতা জয়ের হাতছানি গড়ের মাঠের তৃতীয় প্রধানের সামনে। রবিবার ফাইনালে এফ সি গোয়া ও বেঙ্গালুরু এফ সি-র ম্যাচের বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে মহমেডান স্পোর্টিং।


এদিন অবশ্য ম্যাচের শুরুটা দেখে বোঝা যায়নি মহমেডান স্পোর্টিং সহজ জয় পাবে। ২০ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল করে বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন পেড্রো মানজি। ডুরান্ডের ইতিহাসে এটাই হয়তো দ্রুততম গোল। মহমেডান স্পোর্টিং শুরুতেই গোল খেয়ে গেলেও, প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাচে ফেরে। ৯ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান মার্কাস জোশেফ। এরপর ৩৮ মিনিটে মার্কাসের বাড়ানো বল থেকে গোল করে সাদা-কালো ব্রিগেডকে এগিয়ে দেন ফয়সল আলি। প্রথমার্ধের শেষে খেলার ফল ছিল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের পক্ষে ২-১।


দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ব্যবধান বাড়াতে পারেননি মার্কাসরা। ৭৮ মিনিটে সমতা ফেরান কিংশুক দেবনাথ। সেই সময় মনে হচ্ছিল, বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড হয়তো মহমেডান স্পোর্টিংকে চাপে ফেলে দেবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে মানজি লাল কার্ড দেখায় ১০ জনে হয়ে যায় বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড। এরপর মহমেডান স্পোর্টিংয়ের আর কোনও সমস্যা হয়নি। ১০৩ মিনিটে গোল করে মহমেডান স্পোর্টিংকে এগিয়ে দেন পরিবর্ত ব্র্যান্ডন ভ্যানলালরেমডিকা। সাত মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান মহমেডান স্পোর্টিংয়ের অধিনায়ক নিকোলা স্টোয়ানোভিচ।


করোনা আবহে খেলার মাঠে দর্শকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও, ডুরান্ড কাপে গ্যালারিতে ফিরেছেন দর্শকরা। এদিন মহমেডান স্পোর্টিংকে সমর্থন করতে প্রায় ২৫ হাজার দর্শক ছিলেন বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।