কলকাতা: চুক্তি-জট কাটার পর উঠেছে দলবদলে নিষেধাজ্ঞা। আইএসএলের জন্য এবার দল গঠনে ঝাঁপাল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। এই মরসুমে থাকতে পারেন রফিক, বিকাশ জাইরু। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জেজে, বলবন্তকে। বেশ কিছু ফুটবলারকে লোনে নিতে চাইছে লাল হলুদ শিবির। এছাড়াও লোনে নেওয়ার চেষ্টা প্রবীর দাস, আদিল খান, হাকুকে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে চুক্তি-জট কেটেছে ইস্টবেঙ্গলের। ক্লাব কর্তৃপক্ষ-লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় বৈঠকে কেটেছে যাবতীয় জট। ফের একবার লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গেই হাত মিলিয়ে আসন্ন আইএসএলে খেলবে লাল-হলুদ শিবির। প্রসঙ্গত, ঠিক গত বছরের আইএসএলের আগেও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতাতেই মুশকিল আসান হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। শ্রী সিমেন্ট ইনভেস্টার হিসেবে এগিয়ে আসায় আইএসলএল খেলার রাস্তা তৈরি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু এবারের আইএসএল এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে চরমে ওঠে লাল-হলুদ ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও ইনভেস্টরের দ্বন্দ্ব।
কয়েকদিন আগেই কার্যত পয়েন্ট অফ নো রিটার্নের ইঙ্গিত দিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে স্পোর্টিং রাইট ফিরিয়ে দিয়েছিল লগ্নিকারী সংস্থা। যদিও সেই ঘটনার পরই ফের 'ময়দানে' নামেন মুখ্যমন্ত্রী। ইনভেস্টরদের কথাবার্তা বলার পরও এভাবে পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে কিছু উষ্মাপ্রকাশও করেছিলেন তিনি। নবান্নে এদিন দু-পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে নিজে মধ্যস্থতা করে যাবতীয় জট কাটিয়ে হাসিমুখে জানান, 'অনেকে ফোন করে জানতে চেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল নিয়ে। মোহনবাগান, মহমেডান-সবাই চায় ইস্টবেঙ্গল খেলুক।' মাঝে নেতাজি ইন্ডোরে খেলা হবে দিবস পালনের ঘোষণা করার সময়ই মুখ্যমন্ত্রী লাল-হলুদ ক্লাব কর্তাদের কিছুটা 'ছেড়ে খেলে' জট কাটিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। গোটা বিষয়টার ওপর তাঁর যে নজর রয়েছে সেটা বুঝিয়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আশ্বস্ত করেছিলেন তাঁদের পছন্দের ক্লাবের আইএসএলে খেলার ব্যাপারে।
অবশেষে যাবতীয় ঝামেলা মিটিয়ে ফের এই মরসুমে আইএসএল খেলার স্বপ্ন দেখা শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। এখন দেখার নতুনভাবে দল সাজাতে কাকে কাকে শেষ পর্যন্ত দল অন্তর্ভূক্ত করতে পারে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর এই ক্লাবটি।