কলকাতা: বহু প্রতীক্ষা, জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে স্বস্তি। সরকারিভাবে গাঁটছড়া বাঁধল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ও ইমামি গ্রুপ (Emami Group)। মঙ্গলবারই চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের মাধ্যমে ইস্টবেঙ্গল ও ইমামির বাঁধন সম্পূর্ণ হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেকথা ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। এই গাঁটছড়ার ফলে 'ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি প্রাইভেট লিমিটেড'  নামক নতুন এক কোম্পানিও তৈরি হল।


ইনভেস্টর বা বিনিয়োগকারী হিসাবেই ইমামি কাজ করবে। খবর অনুযায়ী চুক্তিমতে ইমামির হাতে ক্লাবের ৭৭ শতাংশ শেয়ার এবং ইস্টবেঙ্গলের হাতে ২৩ শতাংশ শেয়ার থাকবে। শেয়ারের মতো বোর্ড সদস্যেও ইমামিরই আধিক্য। বোর্ডে সাত ইমামি সদস্য থাকছেন, সেখানে ইস্টবেঙ্গলের তরফে থাকবেন তিনজন। তবে কতদিনের জন্য চুক্তি করা হয়েছে সেই বিষয়ে সঠিক কিছু বলা হয়নি।


৯০-র দশক


৯০-র দশকে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি স্পনসর ছিল ইমামি। সেই কথাই মনে করিয়ে দিয়ে ইমামি গ্রুপের ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল বলেন, '৯০-র দশকের মাঝের দিকে স্পনসর হিসাবে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বেশ সফল ছিল। আমাদের এই সম্পর্ককে আবারও নতুনভাবে শুরু করতে খুবই উচ্ছ্বসিত। পাশাপাশি দেশের অন্যতম সেরা ফুটবল দলের উন্নতিতেও আমরা ভীষণ আগ্রহী।'


ইস্টবেঙ্গল সম্পাদক কল্যাণ মজুমদারও ক্লাব ও ইমামির এই নতুন গাঁটছড়া নিয়ে উচ্ছ্বসিত। তিনি জানান, 'আমরা নতুন এই পার্টনারশিপ নিয়ে খুবই খুশি এবং উচ্ছ্বসিত। ইমামির সঙ্গে জুটি বেঁধে ইমামি ইস্টবেঙ্গল হিসাবে আমরা দেশের অন্যতম সেরা দল তৈরি করতে বদ্ধপরিকর।' ডুরান্ড কাপ দিয়ে শুরু হচ্ছে এবারের ভারতীয় ফুটবল মরসুম। সম্পাদক জানান সেই উদ্দেশ্যে দ্রত দল গঠার কাজের শুরু হবে।


পরিকাঠামোগত উন্নতি


ইতিমধ্যেই লাল হলুদ বেশ কিছু ফুটবলের সঙ্গে কথাবার্তা পাকা করে ফেলেছে বলে খবর। সরকারিভাবে কবে থেকে খেলোয়াড়রা দলে যোগ দেন, এখন সেটাই দেখার। পাশাপাশি ইমামির সঙ্গে এই নতুন গাঁটছড়ায় ক্লাবের পরিকাঠামো, অনুশীলনের পরিকাঠামো, সবেই উন্নতি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে সর্বোপরি সরকারিভাবে এই চুক্তিপত্র অবশেষে সই হওয়ায় লাল হলুদ সমর্থকদের বড় চিন্তা কমল।


আরও পড়ুন: ২৮ অগাস্ট এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারত-পাক দ্বৈরথ