কলকাতা: নন্দকুমারের বিশ্বমানের গোলে চার বছর পর ডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের। বিশ্বমানের গোল করে দলকে জেতালেন নন্দকুমার। খেলার প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ৬০ মিনিটের মাথায় দুরন্ত গোল করেন চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করা ২৭ বছরের তরুণ ফুটবলার। মূলত তাঁর গোলেই প্রায় ১৬৬৬ দিন পরে ডার্বিতে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল শিবির। শেষবার ২০১৯ সালে ডার্বি জিতেছিল লাল হলুদ শিবির। 


এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ২ দল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে। এদিন সকালে ক্লেটন সিলভা শহরে পৌঁছে গেলেও তাঁকে ছাড়াই মাঠে নামতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল শিবিরকে। কুয়াদ্রাত দল সাজিয়েছিলেন নন্দকুমার, সিভেরিও ও মাহেশকে আক্রমণভাগে রেখে। খেলার শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে উইং ধরে বক্সে ঢোকার প্রতিনিয়ত চেষ্টা সিভেরিওর। দুর্দান্ত ট্য়াকেল অনিরুদ্ধ থাপার। ৪২ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক পায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। খাবরার শট নিলেও তা গোলমুখে পৌঁছানোর আগেই ক্লিয়ার করে দিলেন বাগান ডিফেন্ডাররা। ৪৫ মিনিটের মাথায় সিভেরিওকে লক্ষ্য করে ডান দিক থেকে লো ক্রস নন্দার। বিপন্মুক্ত করলেন মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কায়েথ। ৪ মিনিট ইনজুরি টাইমের ঘোষণা রেফারির। প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে বুমোসের ফ্রি কিক দুর্দান্তভাবে সেভ করলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক গিল।


দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লাল হলুদের উইঙ্গার মাহেশ নাওরেম দুরন্ত গতিতে এগোচ্ছিলেন, কিন্তু আনােয়ার আলি দারুণ ট্যাকেল করেন তাঁকে। আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণের লড়াইয়ে ৪৮ মিনিটের মাথায় মনবীরকে বাজেভাবে ট্যাকেল করায় হলুদ কার্ড দেখতে হয় ইস্টবেঙ্গলের সৌভিক চক্রবর্তীকে। রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন লাল হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতও।






খেলার ৫৬ মিনিটের মাথায় অল্পের জন্য গোল পেল না মোহনবাগান। আনােয়ার আলির দুর্দান্ত শট অল্পের জন্য বারপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। ৬০ মিনিটের মাথায় নন্দকুমারের গোলে ১-০ তে এগিয়ে গেল লাল হলুদ শিবির। উইং ধরে এগিয়ে এসে বাগান ডিফেন্ডারকে পাস কাটিয়ে গোলার মত শটে বল প্রতিপক্ষের জালে জড়ান নন্দকুমার। এরপর গোটা ম্যাচে প্রচুর চেষ্টা করেও আর গোলশোধ করতে পারেনি বাগান শিবির। উল্লেখ্য ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শেষবার ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানকে হারিয়েছিল। এমনকী ২০২২ সালে জানুয়ারিতে শেষবার সবুজ মেরুন বাহিনীর বিরুদ্ধে গোল করতে পেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেদিক থেক দেখতে গেলে এই জয় ইস্টবেঙ্গলের কাছে অনেক স্বস্তি দেবে। এই জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ২ নম্বরে থাকল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল।