কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় কাটল জট। শ্রী সিমেন্ট সরার পরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের (East Bengal) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হল ইমামি গ্রুপ। "ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বড় ব্র্যান্ড ভ্যালু আছে। আইএসএল (ISL) খেলা নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা মিটল।" নবান্নে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত এপ্রিল মাসেই শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদ হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের। লাল হলুদকে ক্রীড়াসত্ত্ব ফিরিয়ে দেয় শ্রী সিমেন্ট। ক্লাবকে চিঠি দিয়ে ক্রীড়াসত্ত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানায় শ্রী সিমেন্ট। 


লাল-হলুদে ইনভেস্টর জট-


দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন। শ্রী-সিমেন্ট লাল হলুদ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ক্লাবের ভবিষ্যৎ কী ? প্রশ্নটা দীর্ঘদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছিল ময়দানের আনাচে-কানাচে। মাঝে ওপার বাংলার ক্লাবের নাম ভেসে উঠলেও সে-ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি। সম্প্রতি, আশার কথা শোনা যায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে। জানা যায়, ইনভেস্টর-জট কাটাতে মহারাজের দ্বারস্থ হয়েছিলেন লাল হলুদ কর্তারা। কথা রাখেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। ইস্টবেঙ্গল নিয়ে কথা চালান ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে। তবে, বিনিয়োগ নয় একেবারে ক্লাবের মালিকানা নিয়েই চলছে আলোচনা, জানান সৌরভ।


এরপর আজ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের (East Bengal) সঙ্গে ইমামি গ্রুপের চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা জানা যায়।


আইএসএল-পর্ব-


শেষ হিরো আইএসএলে সারা লিগে ২০টির মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ জেতে তৎকালীন এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১১ দলের মধ্যে সর্বশেষ স্থানে থেকে শেষ লিগ অভিযান শেষ করে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী লাল-হলুদ বাহিনী।


কেন এমন হয় ? শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে দল গঠন। প্রাক-মরসুম প্রস্তুতি যথেষ্ট না হওয়া, এ সব কিছু মিলিয়ে শেষ মরসুম এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে প্রায় দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে ওঠে। কোনও কিছুই যখন ঠিকমতো চলছিল না, তখন ক্লাব কর্তৃপক্ষ নতুন মুখ এনে পরিস্থিতি শোধরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস এমনই যে, তাতে অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও ফলের ক্ষেত্রে তার কোনও প্রতিফলনই দেখা যায়নি।