কলকাতা: আসন্ন মরশুমের আগে ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal)। এবার তারা সই করাল হরমনজ্যোৎ সিংহ খাবরা (Harmanjot Khabra), এডউইন বংশপাল (Edwin Vanspaul) ও মান্দার রাও দেশাইকে (Mandar Rao Desai)। তিনজনের অভিজ্ঞতা দলকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলেই জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত।


ইস্টবেঙ্গলের কোচ বলেছেন, 'মান্দারের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আমাদের দলের শক্তি বাড়াবে। খাবরা অসম্ভব অভিজ্ঞ। সবচেয়ে বড় কথা আগেও ইস্টবেঙ্গলে খেলেছে এবং সমর্থকেরাও ওকে পছন্দ করে। বেঙ্গালুরু এফসি-তে ও আমার অন্যতম অধিনায়ক ছিল। এখানেও তাই। বংশপাল বিভিন্ন পোজিশনে খেলতে পারে। ও দলের সম্পদ হতে পারে।'


নতুন মরশুম শুরুর আগেই নতুন কোচ নিয়ে এসে দল গঠনে জোর দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (Emami East bengal)। ২ স্প্যানিশ ফুটবলারকে দলে নিয়েছে লাল হলুদ বাহিনী। জেভিয়ের সিভেরিও সাউল ক্রেসপোকে দল নিয়েছে তারা। ফরওয়ার্ড পোজিশনে খেলেন সিভেরিও। অন্যদিকে মিডফিল্ডে খেলেন তরুণ সাউল। ২০২১-২২ মরসুমে হায়দরাবাদ এফসি প্রথমবার আইএসএল খেতাব জিতেছিল। সেই ট্রফি জয়ে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল জেভিয়েরের। ২৫ বছরের এই তরুণ স্ট্রাইকার স্প্যানিশ দল লাস পালমা বি ছাড়াও আরও দুটো ক্লাবে খেলেছেন। এরপরই আইএসএলে যোগ দেন তিনি। আইএসএলে ৪৫টি ম্যাচ খেলে এখনও পর্যন্ত মোট ১২টি গোল করেছেন সিভেরিও। গত মরশুমে হায়দরাবাদের হয়ে সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে মোট ৯টি গোল করেছিলেন এই তরুণ। নতুন ক্লাবে যোগ দিয়ে সিভেরিও জানান, ''আমার কাছে বিরাট সম্মানের ব্যাপার। একশো বছরের পুরনো ক্লাবে খেলার সুযোগ পাব। ভারত দুর্দান্ত একটা দেশ। আর এখানে আইএসএলে নিজের পারফর্ম ধরে রাখতে চাই। ক্লাব ও কোচের আমার ওপর যে বিশ্বাস তা বজায় রাখার চেষ্টা করব। আশা করি অনেক গোল করতে পারব। আমি দেখেছি যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থকরা কতটা প্যাশনেট থাকেন। সল্টলেক স্টেডিয়ামে তাঁদের সামনে খেলার জন্য অপেক্ষা করছি।''


সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলেন সাউল ক্রেসপো। স্প্যানিশ ক্লাব পনফেরাদিনা, অ্যাথলেটিকো অ্যাস্টরগা ও আরানডিনায় খেলেছেন তিনি। এরপর আইএসএলে খেলতে আসেন। ২৬ বছরের এই তরুণ গত মরশুমে সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ২০৫৪ মিনিট খেলে ৩টি গোল করেছেন, ২টো অ্যাসিস্ট করেছেন ২৬ টি ম্যাচে। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মাঠে নামতে চলেছেন। ক্রেসপো বলছেন, ''আমি যখন শুনতে পাই যে ইস্টবেঙ্গল আমাকে নেওয়ার জন্য কথা বলছে, তখন আমি কোনওভাবেই ইতস্তত বােধ করিনি। এই ক্লাবটি ভারতের অন্যতম বড় ক্লাব। দুর্দান্ত ফ্যানবেস রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। গত বছর কলকাতা ডার্বি দেখেছিলাম। দারুণ অনুভূতি। এই দলের সঙ্গে যোগ দিতে মরিয়া হয়ে রয়েছি। প্রচুর ম্যাচ জেতাতে চাই ক্লাবকে।''