কলকাতা: ডুরান্ড কাপের ফাইনালে আগামীকাল মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। চলতি মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বি আয়ােজিত হতে চলেছে সল্টলেক স্টেডিয়ামে। প্রথম ডার্বিতে গত ১২ অগাস্ট জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল লাল হলুদ শিবির। আগামীকাল ফাইনালের আগে দেখে নেওয়া যাক চলতি টুর্নামেন্টে দুই দল কেমন পারফর্ম করেছে -


ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স


গত মরশুমে হায়দরাবাদ এফসি-র হয়ে খেলার পর এ মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে খেলছেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বোরহা হেরেরা গঞ্জালেস। এ বছর মে মাসেই হায়দরাবাদের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয় তাঁর। ফলে কোনও ট্রান্সফার ফি ছাড়াই বোরহাকে এক বছরের চুক্তিতে পেয়ে যায় কলকাতার ক্লাব। গ্রুপের প্রথম ম্যাচ এগিয়ে থাকার পরও ড্র করতে হয়েছে। কিন্তু ডার্বি জয়ের পর থেকেই পুরো দলটার খোলনলচে বদলে গিয়েছে। আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে গোকুলম কেরালাকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে ইস্টবেঙ্গল। এরপর সেমিতে নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নেয় কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। 


গত জুনেই উইঙ্গার নন্দকুমার শেখরকে ওডিশা এফসি থেকে নিজেদের শিবিরে নিয়ে আসে ইস্টবেঙ্গল এফসি। তিন বছরের জন্য তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছে কলকাতার ক্লাব। গত মরশুমে ওডিশা এফসি-র হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান তামিলনাড়ু থেকে উঠে আসা এই ফুটবলার। এ মরশুমও শুরুটা দারুন করেছেন তিনি। চলতি ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গলকে সাড়ে চার বছর পর ডার্বি জেতানো গোল করেন তিনি। সেমিফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে থাকার পর তাঁর গোলেই সমতা আনে ইস্টবেঙ্গল।


মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসের পারফরম্যান্স


অন্য়দিকে সবুজ মেরুন বাহিনীর ডুরান্ড কাপ অভিযান শুরু হয়েছিল দুর্দান্তভাবে। গ্রুপ-এর ম্যাচের বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে ৫-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় হুয়ান ফেরান্দোর দল। এরপর পঞ্জাবকে ০-২ গোলে হারিয়ে দেন তারা। এরপর ডার্বিতে ১-০ গোলে হারতে হয় মোহনবাগানকে। শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টার ফাইনালের জায়গা তারা পাকা করে। নকআউট পর্বে প্রথমে কঠিন প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসিকে ৩-১ ব্যবধানে হারায় মোহনবাগান। এরপরে এফসি গোয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকি পায় সবুজ মেরুন ব্রিডেগ।


এই বছর দলের সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলছেন অস্ট্রেলিয়ার জেসন কামিংস। তার দিকে নজর থাকবে ফাইনালেও। মোহনবাগান এসজি তিন বছরের চুক্তি করেছে অস্ট্রেলিয়ান গোলমেশিনের সঙ্গে। যিনি এর মধ্যেই চার গোল করে ফেলেছেন সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে। কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে ভারতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সহাল আব্দুল সামাদকে দলে নিয়েছিল মোহনবাগান। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে আরমান্দো সাদিকুর বিশ্বমানের গোলেই জয় ছিনিয়ে নেয় সবুজ মেরুন বাহিনী। 


শেষবার ২০০৪ সালের ডুরান্ড কাপ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দ্বৈরথ দেখা গিয়েছিল। সেবার ২-১ গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় লাল হলুদ বাহিনী।