ভুবনেশ্বর: জয় দিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপ অভিযান শুরু করার পর এ বার সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরীক্ষা ইস্টবেঙ্গল এফসির। তারা খেলবে শ্রীনিধি ডেকানের বিরুদ্ধে। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের দিকে পা বাড়ানোর জন্য লাল হলুদের পক্ষেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। 


প্রথম রাউন্ডে দুই দলই জেতায় ‘এ’ গ্রুপে আপাতত শীর্ষে দুই স্থানে রয়েছে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। তাদের গোলপার্থক্যও একই। তবে বেশি গোল (৩) করায় ইস্টবেঙ্গল রয়েছে একে ও মোহনবাগান (২) তার পরেই। যদি রবিবারের ম্যাচেও জেতে তারা, তবে সেমিফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে ১৯ তারিখের কলকাতা ডার্বি। যা কার্যত কোয়ার্টার ফাইনালে পরিণত হবে। কিন্তু লড়াইটা সেই জায়গায় নিয়ে যেতে গেলে রবিবার দুই দলকেই জয়ের ধারা অব্যহত রাখতে হবে। যদি কোনও একদল জেতে এবং অপর দল ড্র করে বা হারে, তা হলে ডার্বিতে জয়ী দলই এগিয়ে থেকে নামবে। ডার্বিতে পিছিয়ে থেকে নামা এড়াতেই তাই রবিবার কলকাতার দুই দলেরই জয় চাই।  


মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তাদের ব্রাজিলীয় তারকা ফরোয়ার্ড ও অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। তাঁর জোড়া গোলের জেরে ৩-২-এ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয় পায় লাল-হলুদ বাহিনী।  


প্রথমে ৩৩ মিনিটের মাথায় অসাধারণ এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। ডানদিক দিয়ে ওঠা মহম্মদ রকিপের নিখুঁত ক্রস থেকে দুর্দান্ত ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন ব্রাজিলীয় তারকা। তবে লড়াকু হায়দরাবাদ এফসি প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে রামলুনচুঙ্গার গোলে সমতা এনে ফেলায় চাপে পড়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৫৪ মিনিটের মাথায় ক্লেটনের গোলেই চাপ কাটে তাদের। ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া তাঁর অসাধারণ ও মাপা ফ্রি কিক হাওয়ায় গতিপথ বদলে সোজা প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়ে যায়। 


এর পরেও লড়াই ছাড়েনি হায়দরাবাদ। ৭৯ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়ে স্পট কিক থেকে গোল করে ফের সমতা আনেন নিম দোরজি তামাং। তবে বোরহা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হেরেরার কর্নার থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন পরিবর্ত হিসেবে নামা সল ক্রেসপো। 


প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, রবিবারও সে রকম পারফরম্যান্স দেখাতে পারলে, তাদের জয় খুব একটা কঠিন হবে বলে মনে হয় না। তবে তাদেরও রক্ষণকে আরও আঁটোসাঁটো করতে হবে। লালচুঙনুঙ্গা ভারতীয় দলে থাকায় তাদের রক্ষণ কিছুটা হলেও দুর্বল। তাই আইএসএলে টানা দুই ম্যাচে গোল না খেলেও বছরের প্রথম ম্যাচে তা ধরে রাখতে পারেনি তারা। জোড়া গোল খায়। গত ম্যাচে তাদের গোল করার সমস্যা মিটলেও রক্ষণে ফের চিড় ধরেছে। 


তবে তাদেরও প্রধান ভরসা বিদেশিরা। ক্লেটন, বোরহা, ক্রেসপো, পার্দো, হিজাজিরা দলকে সাধ্যমতো ভরসা দিচ্ছেন। তবে সিভেরিওর ফর্মে না ফিরতে পারা অবশ্যই চিন্তায় রেখেছে দলের স্প্যানিশ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতকে। প্রথম ম্যাচের চেয়ে শনিবার তারা আরও ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারে কি না, সেটাই দেখার।