কলকাতা: ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের সংঘাত চরমে পৌঁছে গেল। বিনিয়োগকারীর পাঠানো চুক্তিপত্র সই করতে অস্বীকার করলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্মসমিতির সদস্যরা।


বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের জট কাটল না। কর্তারা নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকলেন। শুক্রবার কর্মসমিতির বৈঠকের পর লাল-হলুদ কর্তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তাঁরা কোনও ভাবেই বিনিয়োগকারী সংস্থার চুক্তিপত্রে সই করবেন না। তাঁদের দাবি, এই চুক্তিপত্রে ক্লাবের সদস্য ও সমর্থকদের স্বার্থক্ষুন্ন হবে।


ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্যদের নিয়ে শুক্রবার ক্লাব তাঁবুতেই রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় যে, শ্রী সিমেন্টের শর্ত মেনে নিয়ে কোনও ভাবেই চুক্তিতে সই করবে না ইস্টবেঙ্গল।


ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সচিব কল্যাণ মজুমদার-সহ শুক্রবারের বৈঠকে ২৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকেই চুক্তিতে সই না করার বিষয়ে সহমত হয়েছেন বলে ক্লাব সূত্রে খবর। কল্যাণ মজুমদারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কারভাবে লেখা রয়েছে, ‘সভাপতির নেতৃত্বে এগজ়িকিউটিভ কমিটির সকল সদস্য মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, বিনিয়োগকারীর পাঠানো চুক্তিপত্রে ক্লাবকে চিরতরে দিয়ে দেওয়ার শর্তাবলী রয়েছে। এই চুক্তিপত্রে সদস্যদের অসম্মান করা হচ্ছে এবং তাদের অধিকার খর্ব করে দেওয়ার শর্তাবলী রয়েছে। যে চুক্তিতে ক্লাবের মৌলিক অধিকার নেই, যে চুক্তিপত্রে ক্লাবের মাঠ, ক্লাবের লোগো, ক্লাবের নাম, তাঁবু-সহ সমস্ত কিছু চিরতরে নিয়ে নেওয়ার এবং ক্লাবকে সেগুলো ব্যবহার করতে না দেওয়ার শর্তাবলী রয়েছে, যে চুক্তিপত্রে ক্লাবের কোটি কোটি সদস্য সমর্থকদের আত্মাভিমানে আঘাত ও যে চুক্তিপত্রে সমর্থকদের উদ্দেশে বলা হয় ট্রেসপাসার্স উইল বি প্রসিকিউটেড, সেই চুক্তিপত্রে আমরা সই করব না।’


চুক্তিপত্রে সই না করার কলকাতা লিগ, এমনকী আইএসএলেও ইস্টবেঙ্গলের খেলা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়ে গেল। ইস্টবেঙ্গলের কর্মসমিতির পক্ষ থেকে ক্লাবের সদস্য, সমর্থক এবং প্রাক্তন ফুটবলারদের এই বিষয়ে নিজেদের মতামত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে দুপক্ষ যেরকম অনড়, তাতে জট আদৌ কাটবে কি না, তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।