কলকাতা: সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) মামলায় রায় দিয়ে দেওয়ার পরই বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থায় নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। মঙ্গলবার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক ছিল সিএবি-তে। সেই বৈঠকে সংশোধিত গঠনতন্ত্রের নিয়ম মেনে নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করা হল। সুশান্ত রঞ্জন উপাধ্যায়কে নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করা হল। সিএবি সূত্রে খবর, অক্টোবর মাসে সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজিত হতে পারে।


বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় (AGM) সিএবি-র প্রতিনিধিত্ব করবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বঙ্গ ক্রিকেটের প্রতিনিধি হিসাবে থাকবেন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াও।


পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের ওপর নির্ভর করে সিএবি-র গঠনতন্ত্রেও কিছু বদল আনার কথা ভাবা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সমস্ত পদক্ষেপ করার জন্য সিএবি প্রেসিডেন্ট ও সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) মসনদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly), জয় শাহদের মেয়াদবৃদ্ধি করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও বোর্ডে আলাদা ৬ বছর করে মোট ১২ বছর একটানা কেউ পদাধিকারী থাকতে পারবেন। ২০১৪ সালে সিএবি (CAB) সচিব হিসাবে ক্রিকেট প্রশাসনে প্রবেশ করা সৌরভ ২০১৯ সালের অক্টোবরে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হন। আপাতত ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাঁর বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসাবে থাকতে কোনও বাধা নেই। ২০২৫ সাল পর্যন্ত বোর্ড সচিব থাকতে পারবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-পুত্র জয় শাহও।


সুপ্রিম কোর্টে বোর্ড মামলার শুনানি হতেই বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা সিএবি-তে নির্বাচনী তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথা অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে সিএবি-তে বার্ষিক সাধারণ সভা হয়ে নতুন কমিটি বেছে নেওয়ার কথা। কিন্তু বোর্ড যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল, সেই মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিল সিএবি-ও। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কোন নির্দেশিকা দেয়, তার অপেক্ষায় ছিলেন বাংলার ক্রিকেট প্রশাসকরা। বুধবারের রায়ের পর অবশ্য সিএবি-ও দ্রুত নির্বাচন সেরে ফেলতে চায়।


পদাধিকারী হিসাবে অভিষেক ডালমিয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ২০১৫ সালে জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পর অভিষেক সিএবি সচিব হন। ২০১৯ সালে সৌরভ বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অভিষেক সিএবি-র সর্বোচ্চ পদে বসেন। সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশিকা মানলেও ২০২১ সালেই রাজ্য সংস্থায় টানা ৬ বছর শেষ হয়েছে অভিষেকের। তাঁকে সিএবি প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে হবে। তবে বোর্ডের পদাধিকারী হতে কোনও বাধা নেই অভিষেকের। বোর্ডের নির্বাচনে লড়লে তাঁর হাতে কিছু ভোট নিশ্চিত রয়েছে। কী করবেন অভিষেক? এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না। সূত্রের খবর, আরও কয়েকদিন দেখে এবং বোর্ড মহলরে হাওয়া বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন। তবে সুপ্রশাসক হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া অভিষেক বোর্ডের সব মহলেই জনপ্রিয় এবং তিনি বোর্ডের কোনও বড় পদ পেতেই পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।