কলম্বো: এমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তান। রবিবার কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে ২২ গজে ২ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই। মাঠে নামার আগে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় দল। কারণ গ্রুপ লিগে তারা পাকিস্তানকে একবার হারিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল যশ ধূলের দল। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ২১১ রানে অল আউট হয়ে যায়। রান তাড়া করতে নেমে ১৬০ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ভারতের ২ স্পিনার নিশান্ত সিন্দু ও মানব সুথারের সামনে একেবারেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সেই ম্যাচে ভারত অধিনায়ক যশ ধূলের ব্য়াট থেকে এসেছিল ৬৬ রানের ইনিংস। 


অন্যদিকে পাকিস্তান দলেও প্রচুর তরুণ প্রতিভা রয়েছে। পিএসএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেকর। যা ফাইনালে তাঁদের কাজে লাগবে। অলরাউন্ডার মহম্মদ ওয়াসিম, অধিনায়ক মহম্মদ হ্যারিস, শাহিবজাদা ফারহান, আর্শাদ ইকবাল প্রত্যেকেরই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার যােগ্যতা রয়েছে। আবার ভারত এ দলের অধিনায়ক যশ ধূল সহ রিয়ান পরাগ, অভিষেক শর্মা, সাই সুদর্শন, হাঙ্গারগেকরের মত তরুণদের আইপিএলের মঞ্চে ধারাবাহিকভাবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।


এর আগে ২০১৩ সালে প্রথমবার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত এ। কিন্তু পরের তিনবার খেতাব ঘরে তুলতে পারেনি তারা। একবার ফাইনালে উঠেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল ভারত এ দলকে। সেই নিরিখে এবার সুযোগ রয়েছে অভিষেক শর্মা, সাই সুদর্শনদের সামনে। 


টুর্নামেন্টের একমাত্র যশ ধুলরাই এখনও পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছেন। তিন ম্যাচেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি 'এ', নেপাল এবং পাকিস্তান 'এ' দলের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে ম্যাচ জেতে ভারতীয় দল।


পিছিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ


ছোটরা আজ যখন এমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলবে। তখন বড় ভাইরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনের লড়াইয়ে নামবেন। তৃতীয় দিনের শেষে প্রথম ইনিংসে এখনও ২০৯ রানে পিছিয়ে ক্যারিবিয়ানরা। 


দ্বিতীয় দিনের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ৮৬ রান তুলে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিজে ছিলেন ব্রেথওয়েট ও ম্যাকেঞ্জি। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মুকেশ। এই ম্যাচেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে। আর অভিষেক ম্যাচে তাঁর প্রথম শিকার হলেন ক্রিক ম্যাকেঞ্জি। ব্যক্তিগত ৩২ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। অর্ধশতরান পূরণ করেন ক্রেইগ ব্রেথওয়েট। ছন্দে ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭৫ রানের মাথায় অশ্বিনের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। নিজের ইনিংসে পাঁচটি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। জারমেইন ব্ল্যাকউড ২০ রানের মাথায় আউট হন জাডেজার বলে। স্লিপে দুরন্ত ক্যাচ নেন অজিঙ্ক রাহানে। এলিক আথানাজে দিনের শেষে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন জেসন হোল্ডার।