বার্বাডোজ: প্রথম ম্যাচে লজ্জার হার। দ্বিতীয় ম্যাচেও কোনোরকমে জয় পেল ইংল্যান্ড (england)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র ১ রানে জয়ের মুখ দেখল মর্গ্যান (morgan) বাহিনী। একই সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-১-এ সমতা ফেরালো তারা। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান বোর্ডে তুলেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে সমসংখ্যক উইকেট হারিয়েই ১৭০ রানই তুলতে পারে ক্যারিবিয়ানরা। মাত্র ১ রানে জয় পায় ইংল্যান্ড। ব্যাটে, বলে ভাল পারফর্মের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মঈন আলি।


এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। ইংল্যান্ডের ২ ওপেনার জেসন রয় ও টম ব্যান্টন এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন। বিশেষ করে রয় ছিলেন চেনা ছন্দে। ৬টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। ব্যান্টন ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ২৫ রান করে আউট হন। অধিনায়ক মর্গ্যান (১৩) রান পেলেন না ম্যাচে। তবে মঈন আলি ২৪ বলে ৩১ রান করে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে। শেষের দিকে ক্রিস জর্ডন এদিনও রান পেলেন। তিনি ২৭ রানের ইনিংস খেলেন ২টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্য়ে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭১ বোর্ডে তুলে নেয় ইংল্য়ান্ড। 


জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা একদমই ভাল হয়নি। মাত্র ৬ রানের মাথায় ২ ওপেনারকেই হারায় তারা। তবে ইনিংসের হাল ধরেন নিকোলাস পুরান ও ড্যারেন ব্র্যাভো। প্রথম জন ২৪ ও পরের জন ২৩ রান করেন। কিন্তু মিডল অর্ডার এদিন ব্যর্থ হয় ক্যারিবায়ানদের। লোয়ার অর্ডারে রোমারিও শেফার্ড ঝড় তুলেছিলেন ব্যাট হাতে। তিনি ৫টি ছক্কা ও ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ বলে ৪৪ রান করেন। তাঁকেও ছাপিয়ে যান আকেল হোসেন। ১৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে দল ১৭০ এই আটকে যায়।