মুম্বই: প্রথম দুটো ম্যাচ পরপর হেরে সিরিজ খোওয়ালেও, তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলকে হারিয়ে গিয়েছে হারমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।  ভারতের এই জয়ের অন্যতম কৃতিত্ব  একুশ বছরের ডানহাতি স্পিনার শ্রেয়াঙ্কা পাতিলের  নিজের চার ওভারে স্পেলে মাত্র উনিশ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নিয়েছিলেন শ্রেয়াঙ্কা।  ইংল্যান্ডের লোয়ার ব্যাটিং অর্ডারের তিন মুখ ব্রিস হিট ফ্রি কেম্প ও সোফি একেলস্টোনকে  আউট করে দিয়েছিলেন শ্রেয়াঙ্কা।


 ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হেদার নাইট বলেন, " চাপের মুখে কীভাবে খেলতে হয়,  এই ম্যাচ থেকে অনেকেই অনেক কিছু শিখতে পারবে।  এখানকার সমর্থকদের  অনেক অনেক ধন্যবাদ  মাঠে আসার জন্য।  আমাদের নতুন মেয়েদের জন্য এটা একটা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল।  ভারতের শ্রেয়াঙ্কা দারুণ বল করেছে। ও আমাদের বেশি সুযোগই দেয়নি রান করার।" 


স্রেয়াঙ্কা নিজেও বেজায় খুশি এমন পারফর্ম করে। ম্যাচের শেষে তিনি বলছেন, " সত্যি আমি দারুণ খুশি প্রথমবার এক ইনিংসে তিন উইকেট নিলাম আমার পরিবার আমার কোচ সবাইকে খুশি করতে পেরেছি। আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত।  ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে ঢোকার  সুযোগ পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।  উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ ও ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা এখানে কাজে দিয়েছে।"


গতকাল টস হেরে প্রথমে বল করে ইংল্যান্ডকে ১২৬ রানেই অল আউট করে দেয় ভারতীয় দল। বল হাতে তরুণ শ্রেয়াঙ্কা পাতিল (Shreyanka Patil) তিনটি উইকেট নেন। দুরন্ত পারফর্ম করেন বাংলার বাঁ-হাতি স্পিনার সাইকা ইশাকও (Saika Ishaque)। তিনিও তিনটি উইকেট নেন। এরপর রান তাড়া করতে নেমে স্মৃতি মান্ধানার (Smriti Mandhana) ৪৮ রান ও জেমাইমা রডরিগেজ়ের ২৯ রানের ইনিংস ভারতের জয় সুনিশ্চিত করেন। মান্ধানার ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচটি চার ও দুইটি ছক্কায়। তবে বাংলার আরেক বোলার তিতাস সান্ধু মাত্র এক ওভারই বল করেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি, খরচ করেন ১৬ রান। 


১২৭ রান তাড়া করতে নেমেও ভারতীয় দল ব্যাট হাতে একসময় বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু অভিজ্ঞ স্মৃতি মান্ধানার ৪৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংস ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। শেষের দিকে অমনজোৎ সিংহের রিভার্স স্যুইপ দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। এই ম্যাচের আগে ঘরের মাঠে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে নাগাড়ে পাঁচটি বিশ ওভারের ম্যাচে হারতে হয়েছিল ভারতীয় মহিলা দলকে। এই জয়ে সেই হারের ধারা সমাপ্ত হল।