মিউনিখ: প্রাক্তন বনাম বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল বর্তমানরাই। জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে এবারের ইউরো অভিযান শুরু কর ফ্রান্স। ২০ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করেন ম্যাটস হুমেলস। সেটাই নির্ণায়ক হয়ে রইল। 


জার্মানির এই হারের লজ্জার মধ্যেই ফ্রান্সের তারকা এবং এই ম্যাচের সেরা ফুটবলার পল পোগবাকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জার্মানির ডিফেন্ডার অ্যান্টনিও রাডিগারের বিরুদ্ধে। প্রথমার্ধের শেষদিকে এই ঘটনা ঘটে। রেফারির কাছে গিয়ে প্রতিবাদ জানান পোগবা। যদিও রেফারি কোনও পদক্ষেপ নেননি। 


এদিনের ম্যাচে জার্মানিকে একেবারেই চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। জার্মানদের পরিচিত প্রেসিং ফুটবল, চকিত কাউন্টার অ্যাটাকে বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বোকা বানানো, লড়াকু মেজাজ, আক্রমণের ঝাঁঝ-কিছুই দেখা যায়নি। কেমন যেন গুটিয়েছিলেন টমাস মুলার, টনি ক্রুজরা। এদিন প্রথম একাদশ বাছতেও ভুল করেন জার্মান কোচ জোয়াকিম লো। তিনি এমরে চান, লিরয় সানেদের নামান খেলার শেষদিকে। তাঁরা নামার পর ফ্রান্সকে চেপে ধরেছিল জার্মানি। কিন্তু তাতেও গোল শোধ হয়নি। এই দুই ফুটবলার শুরু থেকেই মাঠে থাকলে হয়তো খেলা অন্যরকম হত।


অন্যদিকে, ফ্রান্স এদিন শুরু থেকেই উজ্জীবিত ফুটবল খেলে। পোগবা, কিলিয়ান এমবাপেরা প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত একই ছন্দে খেলে যান। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে করিম বেনজেমাও দারুণ খেলেন। দিদিয়ের দেশঁ অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন। তাঁর ফুটবলবোধের পরিচয় এদিনও পাওয়া গেল। তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন, তাঁর দল ঠিক সেভাবেই খেলল। অফসাইড ও পোস্ট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে হয়তো বড় ব্যবধানে জিততে পারত ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধে অফসাইডের জন্য  প্রথমে এমবাপে এবং পরে বেনজেমার গোল বাতিল হয়। ৫১ মিনিটে রাবিয়তের শট পোস্টে লাগে। 


দলকে জেতানোর পর পোগবা বলেছেন, ‘দলের পারফরম্যান্সই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দলের বাকিরা না থাকলে আমি খেলতে পারতাম না। আমরা সবাই মিলে ভাল খেলার চেষ্টা করেছি। আমাদের বিশ্বচ্যাম্পিয়নের তকমা ধরে রাখতে হবে। মাঠে সেই অনুযায়ী পারফরম্যান্স দেখাতে হবে। আমরা যখন রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ছি, তখন সবাই মিলে রক্ষণ আগলাচ্ছি, আবার যখন আক্রমণে উঠছি, তখন সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ছি।’