রোম: ঘরের মাঠে তুরস্ককে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এবারের ইউরো কাপের শুরুটা দুর্দান্তভাবে করল খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার ইতালি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার পরেই ৫৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন তুরস্কের মেরি দেমিরাল। ৬৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান সিরো ইম্মোবিল। এরপর ৭৯ মিনিটে ইতালির হয়ে তৃতীয় গোল করেন লরেঞ্জো ইনসিগনে।


এই ম্যাচে ইতালির দাপট এতটাই ছিল যে গোলকিপার জিয়ানলুইগি দোন্নারুম্মাকে একটিও শট বা হেড সেভ করতে পারেনি। ইতালির গোল লক্ষ্য করে তুরস্ক মাত্র তিনটি শট মারতে সক্ষম হয়। তার মধ্যে একটি শটও গোলে ছিল না। সবকটিই বাইরে চলে যায়। অন্যদিকে, তুরস্কের গোল লক্ষ্য করে ইতালি ১৬টি শট নেয়। তার মধ্যে ৮টি শটই গোল ছিল, যা থেকে তিনটি গোল হয়। ইতালি ৮টি কর্নার পায়। সেখানে তুরস্ক মাত্র দু’টি কর্নার পায়, যার মধ্যে একটি একেবারে খেলার শেষমুহূর্তে। ইতালির বল পজেশন ছিল ৬৩ শতাংশ আর তুরস্কের মাত্র ৩৭ শতাংশ। ফলে সবদিক থেকেই এগিয়েছিল ইতালি। 


এদিন রবার্তো মানচিনির দল পরিণত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার ফলে নিশ্চিতভাবেই ঘরের মাঠে প্রায় ১৬ হাজার দর্শকের সামনে খেলা ইতালির উপর কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দর্শকদের আনন্দ দিল ইতালির ছন্দময় ফুটবল। আজুরিরা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলার জন্য পরিচিত। কিন্তু এদিন বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে অসাধারণ আক্রমণাত্মক ফুটবলের পরিচয় দিল। তুরস্কের কাছে ইতালির এই খেলার কোনও জবাব ছিল না।


এদিনের ম্যাচে মানচিনির একটি সিদ্ধান্ত খুব কাজে দেয়। তিনি ফেডেরিকো চিয়েসার বদলে ডমেনিকো বেরার্ডিকে খেলান। কোচের আস্থার যোগ্য মর্যাদা দেন বেরার্ডি। তিনি দুর্দান্ত খেলেন। একের পর আক্রমণে তুরস্কের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে দেন। তার ফলে দ্বিতীয়ার্ধে ইতালির গোল পাওয়া সহজ হয়।


ইতালির রক্ষণে এদিন দুর্দান্ত খেলেন অধিনায়ক জিওর্জিও চিয়েলিনি। তাঁর জন্যই শুরু থেকে শেষপর্যন্ত জমাট থাকে আজুরিদের রক্ষণ। শেষদিকে প্রায় গোল করে ফেলেছিল তুরস্ক। কিন্তু কর্নারের বিনিময়ে দলকে বাঁচিয়ে দেন চিয়েলিনি। 


ইতালির পরের ম্যাচ ১৭ জুন সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচ জিতলেই কার্যত নক-আউটে পৌঁছে যাবে ইতালি। কিন্তু লিওনার্দো বনুচ্চি আগেই বলে দিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য অনেকদূর। সবে তার প্রথম ধাপ পেরোলেন তাঁরা।