নয়াদিল্লি: ইউরোপিয়ান ফুটবলের আসর ইতিমধ্যেই বসে গিয়েছে। গত সপ্তাহে যেখানে প্রিমিয়ার লিগ, বুন্দেশলিগার মতো লিগগুলো শুরু হয়েছিল, এ সপ্তাহে তেমন শুরু হল লা লিগা। তবে মরসুমের প্রথম দিনেই হতাশ করল বার্সেলোনা (Barcelona)। রায়ো ভায়োকানোর বিরুদ্ধে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল কাতালুনিয়ার ক্লাবকে।


হতাশাজনক শুরু


লা লিগা শুরুর দিন একেবারে শেষ মুহূর্তে আর্থিক বাধা অতিক্রম করে ফ্রাঙ্ক কেসি, রাফিনহা, রবার্ট লেওয়ানডস্কিদের লিগের জন্য রেজিস্টার করাতে সক্ষম হয় বার্সেলোনা। লেওয়ানডস্কি, রাফিনহারা এদিন ম্যাচ শুরুও করেন বটে। তবে রায়োর বিরুদ্ধে গোলের দরজা খুলতে পারেননি কেউই। ম্যাচে বার্সার দখলে সিংহভাগ বল দখল থাকার সুবাদে গোলমুখী ২১টি শট নিয়েও গোল হয়নি। লেওয়ানডস্কি অবশ্য একবার জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন বটে। তবে তাঁর গোলটি অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। হতাশাজনক ম্যাচের একবারে শেষ লগ্নে সার্জিও বুস্কেটস লাল কার্ড দেখায় বার্সার হতাশা আরও বৃদ্ধি পায়।


দুর্দান্ত নেমার


ব্যালন ডি'অরের দৌড়ে থাকা সদ্য প্রকাশিত ৩০ জন খেলোয়াড়ের তালিকায় নাম নেই নেমারের (Neymar)। গত মরসুমটা চোট আঘাতের জেরে ভাল কাটেনি। তবে এ মরসুমে শুরু থেকেই আগুন ঝরাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। মন্টপেলিয়েঁর বিরুদ্ধে প্যারিস সাঁ-জাঁর হয়ে জোড়া গোল করলেন তিনি। ম্যাচের প্রথম গোল হতে হতে ৩৯ মিনিট লেগে যায়। তাও তা আসে সাকোর আত্মঘাতী গোল থেকে। তবে তার পর পরই নেমার ৪৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ মিনিটেই নিজের দ্বিতীয় গোলটিও করে ফেলন তিনি।


কিলিয়ান এমবাপেও নিজের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে একটি গোল করেন, তবে তাঁর একটি পেনাল্টিও প্রতিপক্ষ গোলকিপার বাঁচিয়ে দেন। পিএসজির হয়ে ম্যাচের পঞ্চম গোলটি করেন নতুন সাইনিং রেনাটো স্যাঞ্চেজ। মন্টপেলিয়েঁর হয়ে ওয়াহাব খাজরি ও এমবিআয়ি দুই সান্ত্বনা গোল করেন। ম্যাচ শেষ হয় পিএসজির পক্ষে ৫-২ স্কোরলাইনে। তবে এই ম্যাচে এমবাপে, নেমার গোল পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হলেন লিওনেল মেসি।


সিটি, আর্সেনালের চার গোল


একদিকে এক ম্যাঞ্চেস্টারের দল যেদিন ৪-০ তে পরাজিত হল, সেদিনই আরেক ম্যাঞ্চেস্টারের দল নিজেদের ঘরে দাপুটে মেজাজে ৪-০ ম্যাচ জিতল। দ্বিতীয় ডিভিশন থেকে প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা বর্নমাউথকে ৪-০ হারাল চ্যাম্পিয়ন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি (Manchester City)। প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করলেও, এদিন ইলকায় গুন্দোয়ানকে অ্যাসিস্ট প্রদান করেই খুশি থাকতে হল আরলিং হালান্ডকে। দলের হয়ে বাকি তিনটি গোলের একটি আত্মঘাতী এবং অপর দুইটি গোল করেন কেভিন ডি ব্রুইন ও ফিল ফডেন।


প্রাক্তন সিটি স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুসও এদিন দারুণ পারফর্ম করেন, তবে আর্সেনালের হয়ে। লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার জোড়া গোল করেন। তাঁর গোলেই প্রথামার্ধে আর্সেনাল ২-০ এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে গ্রানিট জাকা গানার্সদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। তবে সালিবার আত্মঘাতী গোল ও জেমস ম্যাডিসনের দৌলতে লেস্টার এক সময় স্কোর ৩-২ করে ফেলে। কিন্তু পরক্ষণেই গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি আর্সেনালের হয়ে চতুর্থ গোলটি করে ফেলেন। শেষমেশ ৪-২ ম্যাচ সমাপ্ত হয়।


আরও পড়ুন: সুনীলের পরামর্শে কৃষ্ণদের দেখানো পথেই হাঁটলেন সন্দেশ, ফিরলেন বেঙ্গালুরুতে