কলকাতা: করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতার (kolkata) একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত (surajit sengupta)। গতকাল গভীর রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই মুহূর্তে অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। ময়দানের এমনকী একটা সময়ের দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। এছাড়া কলকাতার ২ প্রধানে খেলেছেন। সুরজিৎ সেনগুপ্তের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
সম্প্রতি, প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক। একবালপুরের নার্সিংহোমে আজ ভোররাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হন সুভাষ ভৌমিক। এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন কিডনির অসুখে। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে ডায়ালিসিস চলছিল। ময়দানে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান, দুই ক্লাবের হয়েই খেলেছেন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৭০-এ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন। খেলেছেন মারডেকা কাপেও। ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং ছাড়াও গোয়ার একাধিক ক্লাবের কোচ ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে ময়দানে শোকের ছায়া।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার, উল্লেখ্য শুক্রবারই তাঁর চিকিৎসার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিন প্রধানের কর্তা ও আইএফএ-এর কর্তাদের নিয়ে কথা বলে অসুস্থ সুভাষ ভৌমিকের পাশে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই তারাদের দেশে পাড়ি দিলেন সুভাষ। তাঁর ছেলে অর্জুন ভৌমিক ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন যে যাতে সুভাষ ভৌমিকের মরদেহ আলিপুরে তাঁর বাড়ির সামনে দিয়ে একবারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। গতকালই সুভাষ ভৌমিকের পরবর্তী চিকিৎসা কীভাবে হবে তা নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। দরকারে তাঁর যদি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়, সেদিকেও নজর রাখ হচ্ছিল। কিন্তু কোনো কিছুরই সময় দিলেন না ময়দানের ভোম্বলদা। উল্লেখ্য, ফুটবলার থাকাকালিন যেমন সাফল্য পেয়েছেন, তেমনই কোচ হিসেবেও সুভাষের সাফল্য দুর্দান্ত। ২০০৩ সালে তাঁরই কোচিংয়ে আশিয়ান কাপ জয় ইস্টবেঙ্গল দলের।