কলকাতা: রাত পোহালেই যুবভারতীতে অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল। তার আগে স্টেডিয়ামে ঢোকার রাস্তা সেজে উঠল আলপনায়। চারটি আর্ট কলেজের প্রায় ২৫০ জন পড়ুয়া বৃহস্পতিবার রাতভর ‍আলপনা আঁকার কাজ করেন। প্রায় ৮০০ মিটার রাস্তা জুড়ে আলপনা দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল আলপনা আঁকা এই রাস্তার উপর দিয়ে হেঁটেই স্টেডিয়ামে ঢুকবেন ইংল্যান্ড ও স্পেনের ফুটবলাররা।


সবুজ গালিচায় বারুদের গন্ধ। যদিও ভারী বুটের শব্দ নেই। কিন্তু রয়েছে ড্রোনের নজরদারি, ভিডিগ্রাফি। আর ভিডিও অ্যানালিসিস। একদিকে, ওয়াইড অ্যাঙ্গল ক্যামেরার ফ্রেম-বন্দি ফুটবলারদের অনুশীলন। আর অন্যদিকে, মাথার উপর অনবরত চক্কর কাটতে থাকা ড্রোন। যুদ্ধের প্রস্তুতিই বটে।

মাঠে চলছে ব্রিউস্টার, ফডেনদের অনুশীলন। উপর থেকে সেই অনুশীলনের ছবি ফ্রেমবন্দি অতিকায় ক্যামেরায়। সরাসরি সেই ছবি চলে আসছে দলের সহকারী কোচের ল্যাপটপে। সেখানেই চলছে ভিডিও অ্যানালিসিস। সেই তথ্য তিনি পৌঁছে দিচ্ছেন কোচ স্টিভ কুপারকে। কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল, ধরা পড়ছে সেখানেই। আর সেখান থেকেই স্প্যানিশ আর্মাডাকে চূর্ণ করার ব্লু প্রিন্ট ছকছেন থ্রি লায়ন্সের হেডস্যার।

অন্যদিকে, স্প্যানিশদের পাল্টা অস্ত্র ড্রোন। মাঠে তিকিতাকার ছন্দ। আর, মাথার উপর ঘুরতে থাকা ড্রোন। অ্যাবেল রুইজদের অনুশীলন সেই ড্রোনের ক্যামেরাবন্দি। কিন্তু কেন? স্প্যানিশ কোচের পাল্টা স্ট্র্যাটেজি। ডিফেন্স ও মিডফিল্ডের মধ্যে সঠিক সমন্বয় রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই এই ব্যবস্থা। ফুটবলের পরিভাষায় যাকে বলে শেপ।

স্পেন বা ইংল্যান্ড, অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ট্রফি এর আগে এই দু’দলের কারও হাতেই ওঠেনি। তিনবারের রানার্স আপ স্পেনের সামনে ফের সুযোগ। অনূর্ধ্ব-২০-র পর অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়েও বিশ্বসেরা হওয়ার হাতছানি ইংল্যান্ডের সামনে। শনিবাসরীয় ব্লকবাস্টারে কোন মন্ত্রে জয়? মাঠজুড়ে তিকিতাকার ঢেউ? না কি থ্রি লায়ন্সের গর্জন? জানতে আর একটু অপেক্ষা।

বিশ্বকাপ ফাইনাল উপলক্ষে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ভিতরে ও বাইরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি করা হয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগেই খুলে দেওয়া হতে পারে স্টেডিয়ামের গেট। জলের পাউচ নিয়ে গ্যালারিতে যাওয়া যাবে না।