দোহা: দিন কয়েক আগেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগের সঙ্গে মনোমালিন্যের পর কোচ এবং ক্লাবের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) চুক্তি বাতিল করেছিল রেড ডেভিলস। রোনাল্ডোকে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামানো নিয়েই সেই ঝামেলার সূত্রপাত। ক্লাব পর এবার জাতীয় দলের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের (Fernando Santos) সঙ্গেও কার্যত একই কারণে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন পর্তুগাল অধিনায়ক।


বিস্ফোরক রোনাল্ডো


কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৬৫ মিনিটে রোনাল্ডোকে মাঠ থেকে তুলে নেন স্যান্টোস। এরপরেই রোনাল্ডোর প্রতিক্রিয়ায় বেজায় চটেছেন পর্তুগিজ কোচ। এমনকী স্যুইৎজারল্যান্ড বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে রোনাল্ডো আদৌ দলে সুযোগ পাবেন কি না, সেই বিষয়েও স্পষ্টভাবে কিছু বলতে চাননি স্যান্টোস। রোনাল্ডোকে উক্ত ম্যাচে মাঠ ছাড়ার সময় বলতে শোনা যায়, 'ওঁ (স্যান্টোস) আমায় যত দ্রুত সম্ভব মাঠ থেকে তুলে নিতে আগ্রহী ছিলেন।' এই ঘটনার বিষয়ে অবশ্য মাঠে কিছুই বুঝতে পারেননি বলে স্বীকার করেন স্যান্টোস।


তিনি বলেন, 'এই উত্তরটাকে দুইভাগে ভাগ করা যাক। ম্যাচের পরেই সাক্ষাৎকার এবং সাংবাদিক সম্মলনে আমি যা বলেছিল আবার আজ তাই বলব। মাঠে আমি কিছুই শুনতে পাইনি। আমি অনেকটাই দূরে ছিলাম এবং সেই কারণেই কেবল ওকে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে তর্কে করতেই দেখতে পাই। ও কী বলেছে, সেটা শুনতে পাইনি।' অবশ্য পরে তিনি ওই ঘটনার ফুটেজ দেখেন এবং সেটা যে তাঁর একেবারেই পছন্দ, তা সোজা ভাষায় জানিয়ে দেন স্যান্টোস।


ক্ষুব্ধ স্যান্টোস


'আমি পরবর্তী ওই ঘটনার ফুটেজটা দেখি এবং যেটা দেখি, সেটা আমার একেবারেই পছন্দ হয়নি। এইসব জিনিসপত্রগুলি এরপর নিজেদের মধ্যে কথা বলে ঠিক করে নেওয়া উচিত। সেইভাবেই গোটা বিষয়টা সামলানো হয় এবং এখন আমাদের নজর কালকের ম্যাচের দিকে। সবাই ম্যাচ নিয়েই চিন্তিত।' বলেন স্যান্টোস। দল নির্বাচনের বিষয়ে তিনি আরও জানান, 'আমি কেবল সাজঘরেই আগেভাগে দলের খেলোয়াড়দের বলি কারা কোন ম্যাচ খেলবে। বাকিরা মাঠে গিয়ে সবটা জানতে পারে। আমার সময়কালে শুরু থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। আমার যাদের মনে দলে খেলানোর কথা মনে হবে, তাদেরই সুযোগ দেব।'  


আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করাটা গর্বের, চাপের নয়, মত ব্রুনো ফার্নান্ডেজের